রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার তার স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহার এবং তার চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৬৪ ধারায় দেওয়া মিন্নির জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য তাকে আদালতে তলবের আবেদন করেন তার আইনজীবী ও বরগুনা জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারি আসলাম।
এ সময় মিন্নি অসুস্থ বলে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী। বিচারক দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন।
এর আগেও ২১ জুলাই মিন্নির জামিন আবেদন করা হয়। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত।
গত ১৬ জুলাই পুলিশ লাইনে সারাদিন জেরা করার পর মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডের দুইদিন শেষে মিন্নিকে শুক্রবার দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন মিন্নি।
তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর অভিযোগ করছেন, তার মেয়ের কাছ থেকে জোর করে জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জেলখানায় যখন আমি কথা বলতে গেছি তখন মেয়েটা আমার কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে বলেছে, ‘বাবা পুলিশ আমাকে যা শিখিয়ে দিয়েছে তাই বলেছি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। স্বামীকে আমি কেন খুন করাতে যাব।’
উল্লেখ্য, ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।