ঈশ্বরদীতে ছেলেধরা সন্দেহে পাগলী আটক

ঈশ্বরদীতে ছেলেধরা সন্দেহে এক পাগলীকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে ওই পাগলীকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের পূর্ব পাড়া গ্রামে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মাগরেফের নমাযের পর প্রায় ৪০ বছর বয়সী এক নারী এলোমেলো অবস্থায় পূর্বপাড়া গ্রামের জনৈক আক্কেল প্রামাণিকের বাড়িতে ঢুকে অসংলগ্ন আচরণ করে। ওই পাগলী গৃহকর্তির বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে গলা কেটে নেবে বলে হুমকি দেয়। এতে আক্কেল প্রামাণিকের স্ত্রী ভীত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এসে ধরে ফেলে। এসময় ওই নারীর একটি ছিন্নভিন্ন ব্যাগ হতে বিভিন্ন ধরণের কিছু শুকনো খাবার, একটি চাকু ও টেপ পাওয়া যায়। চাকু ও টেপ দেখে লোকজন তাকে গলা কাটা ছেলেধরা বলে ধারণা করে। এই খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ সমাবেত হয় এবং ঈশ্বরদীর সর্বত্র ঘটনা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে। পরে এলাকাবাসী ঈশ্বরদী থানায় খবর দিলে থানার এসআই শাহীন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।


এসআই শাহীন জানান, ধৃত নারী আসলে পাগলী। পানি খাওয়ার জন্য ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। সে পাবনা সদর উপজেলার হেমাইতপুর ইউনিয়নের চরভাঙ্গাবাড়িয়া ঘোষপুর গ্রামের মৃত রওশন শেখের মেয়ে মিনারা। তার পলিথিনের ব্যাগে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন রয়েছে। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী মিনারার ব্যাগে পাগলের চিকিৎসার যাবতীয় ঔষুধও পাওয়া গেছে। তার আচরণ অসংলগ্ন হলেও নাম ,ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য ঠিকঠাক মতো বলতে পারছে বলে এসআই শাহীন জানিয়েছেন। ছেলেধরা ও গলাকাটা আতংক বিরাজ করায় ছোট্ট্ ঘটনা বৃহৎ আকার ধারণ করে।