প্রিয়া সাহা কখনো আমার গবেষণা সহকারী ছিলেন না তথ্য-উপাত্ত বিকৃতি করে উপস্থাপন করেছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনকারী প্রিয়া সাহার কিছু অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় বাংলাদেশ।

প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেছিলেন, ‘১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী এখন সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ১ কোটি ৮০ লাখ। তার মানে বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছেন।’
এসময় প্রিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতকে রেফারেন্স টেনে বলেন, ‘আমি এক সময় তার (আবুল বারকাত) সঙ্গে কাজ করেছি। আবুল বারকাত বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। আমি সেই গবেষণা থেকেই রেফারেন্স দিয়েছি।’
কিন্তু প্রিয়া সাহার এই বক্তব্যকে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আবুল বারকাত। তিনি জানান, তার গবেষণাকে বিকৃত করে তথ্য দেয়া হয়েছে।

আবুল বারকাত বলেন, আমার হিসেবে প্রায় পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দিষ্ট হয়েছেন। (উৎসঃ আবুল বারাকাত, ২০১৬ বাংলাদেশ কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজণোইতিক অর্থনীতি, পৃ: ৭১) অর্থাৎ আমি কোথাও ‘৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌধ-খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন’- এ কথা বলিনি। উপরন্তু তিনি কোথাও বললেন না যে, আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর-১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। ২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার এই অভিযোগের ফুটেজ সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার পর সারা দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে।
সুত্র সময সংবাদ