১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর সৌদি আরবে পালিয়ে যায় ধর্ষক। তবে শেষ পর্যন্ত তার রেহাই মেলেনি। ওই ব্যক্তি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রিয়াদ থেকে সুনীল কুমার ভদ্রন নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ভারতের কেরলের কোল্লামের পুলিশ কমিশনার (আইপিএস) মেরিন জোসেফ। তাকে গ্রেফতার করে ইন্টারনেট দুনিয়া প্রশংসায় ভাসছেন মেরিন। সেই সঙ্গে তাকে ‘লেডি সিংহাম’ আখ্যা দিচ্ছে অনেকে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে কেরলের কোল্লামে এক বন্ধুর বাড়িতে যায় সুনীল কুমার। তার বন্ধুর ভাইয়ের ১৩ বছরের একটি মেয়ে ছিল। বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে প্রায় তিন মাস ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুনীল। প্রথমদিকে ভয়ে কিছু না বললেও পরে পরিবারের কাছে সব জানায়।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের পরই সৌদি আরব পালিয়ে যায় সুনীল। এরই মধ্যে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। ওই কিশোরীর যে চাচার সূত্রে সুনীল ওই বাড়িতে যাতায়াত করতো, তিনিও আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পর ইন্টারপোলে নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।
চলতি বছরের জুনে কোল্লামের পুলিশ কমিশনারের পদে বসেন আইপিএস মেরিন জোসেফ। দায়িত্ব নিয়েই নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত ঝুলে থাকা সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন। হাত দেন দুই বছর আগের এই ধর্ষণ মামলায়। যোগাযোগ করা হয় রিয়াদের ইন্টারপোলের সঙ্গে। নতুন করে আবার তৎপরতা শুরু হয়। এরপরই সুনীলকে রিয়াদে গ্রেফতার করা হয়।
২০১০ সালে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো বন্দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতে আনা হয়নি। সুনীলই প্রথম ব্যক্তি যাকে ভারতে অপরাধ করার অভিযোগে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
সুনীলকে দেশে ফেরাতে পুলিশের একটি দল নিয়ে রিয়াদে গেছেন আইপিএস মেরিন জোসেফ। তাকে ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু নথি আদান-প্রদান ও আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আছেন মেরিন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা