সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের ডেকেছিলেন। সেখানে বাংলাদেশের এক নারীকে বলতে শোনা গেছে স্যার আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি সেখানে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে ও দেশে থাকতে পারছে না।
তাকে ভিডিওতে আরো বলতে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আপনি আমাদের সাহায্য করেন। আমরা বাংলাদেশে থাকতে চাই।
বুধবার (১৬ জুলাই) তিনি এই মিথ্যা অভিযোগ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওভাল অফিসে দেখা করতে গিয়ে।
আর এ মিথ্যা অভিযোগকারী নাম প্রিয়া সাহা। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
প্রিয়া সাহা আরও বলেন, এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। সেখানে আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমিজমাও দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এর কোনো বিচার হয়নি।
তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রিয়া সাহাকে প্রশ্ন করেন, এসব জমি কারা দখল করছে? উত্তরে তিনি বলেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা মুসলিম মৌলবাদীরা।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর মতে, বর্তমান বাংলাদেশের আনুমানিক জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩০ লাখের কিছু বেশি। যার মধ্যে ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ মুসলিম, ১০ শতাংশের মতো হিন্দু সম্প্রদায়ের, শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী। এই হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমানে ১ কোটি ৭৮ লাখের মতো সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর বাস।