রাণীনগরের সেই বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ৩টি গ্রাম প্লাবিত ॥ পানি বন্দি প্রায় ১৫ হাজার মানুষ

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরের সেই নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। শুক্রবার ভোর রাতে এই বেড়ি বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এতে করে ওই এলাকার ৩টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। তবে নদীতে পানির গতিবেগ কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
জানাগেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষন ও উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নদী ফুঁসে উঠে । এতে রাণীনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর নান্দাই বাড়ী-মালঞ্চি বেড়ি বাঁধের কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দেয় । স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এলাকাবাসিকে নিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেন। অবশেষে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির চাপে শুক্রবার ভোর রাতে নান্দাই বাড়ী মাদ্রাসার দক্ষিনে প্রায় ৩০ ফিট বাঁধ ভেঙ্গে যায় । এতে ওই এলাকার নান্দাই বাড়ী,মালঞ্চি,কৃষœপুর এলাকা প্লাবিত হয়ে যায় । ওই তিন গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পরেছে। খবর পেয়ে সকালে নওগাঁ পানি উন্নয় বোডের কর্মকর্তা,রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছেন ।
গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন, বাঁধটি প্রায় ৪০ বছর ধরে সংস্কার না করায় চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় থাকার কারনে ভেঙ্গে গেছে। এতে করে নদীর তীরবর্তি কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। এছাড়াও নওগাঁ-আত্রাই সড়কের বেশকিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেইসব ঝুঁকিপূর্ন স্থান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্থানীয়রা রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ইতি মধ্যে পানি উন্নয়ন বোড ও রাণীনগর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে । এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে তাদের জন্য সহায়তা হিসেবে ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হবে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী কর্মকর্তা শুধাংসু কুমার সরকার বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি লোকালি করা হয়েছে । এটি আমাদের আওতায় না,তার পরেও মানবিক কারনে সংস্কার করতে সহায়তা করছি। তিনি বলেন, বর্তমানে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীতে বিপদ সিমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে । তবে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।