বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী নেপালতলী বুরুজ আদর্শগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীর পুরানো সরকারী পাঠ্যপুস্তুক (বই) কদমতলী বাজারে গোপনে বিক্রি করা হয়েছে এমন খবরপেয়ে গতবুধবার রাঁত ১১টায় ইউএনও অভিযান চালিয়ে ওই দোকান থেকে প্রায় ২মন বই জব্দ করে দোকানকে সিলগালা করে দেয়।
একাধিক সূত্র জানায়, বুরুজ আদর্শগ্রাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দূীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন শ্রেনীর প্রায় ২থেকে ৩মন সরকারী পাঠ্যপুস্তুক (বই) পুরানো ও ছেড়া-ফাঁটা হয়ে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। বর্ষা-বৃষ্টির পানিতে বইগুলো আরো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক তার লোকজন দিয়ে গত বুধবার কদমতলী বাজারে মালু নামের এক দোকানদারের নিকট স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দেয়। এরপর স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ইউএনও’কে জানালে গাবতলী ইউএনও আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন’কে নিয়ে ওই দিন রাঁত ১১টা সময় কদমতলী বাজারের মালু দোকানে গিয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২মন বই জব্দ করে দোকানকে সিলগালা করে দেয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোছাঃ রাশেদা খানম জানান, উক্ত বিদ্যালয়ের বিক্রিত বইগুলো অল্প সংখ্যক ও পুরানো ছিল। সরকারী বই পুরানো হলেও বিক্রি করাটা ঠিক হয়নি। জব্দকৃত বই প্রায় ২মন হবে। বইগুলো ওই দোকানেই রেখে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পয়ন্ত বইগুলো কেউ বিক্রি করতে পারবে না। তদন্ত শেষে ইউএনও নিকট প্রতিবেদন জমা দিব। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, ওই দিন রাঁতে বইগুলো ইউএনও স্যার জব্দ করে দোকানকে সিলগালা করে দিয়েছেন। সরকারী পাঠ্যপুস্তুক বিক্রি করার বিষয়ে তদন্ত চলছে। গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে সরকারী বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার’কে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনা সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যর্থাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক জানান, সরকারী পাঠ্যপুস্তুকগুলো খুব পুরানো, ছেড়া-ফাঁটা, ময়লাযুক্ত ও অচল বই ছিল। ২মনের মত বই বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া হয়েছে তা দিয়ে বিদ্যালয়ের পুরানো বারান্দা ও সংস্কার কাজ করা হবে। বই বিক্রির বিষয়ে গত ৬জুলাই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ রেজিলেশনের মাধ্যমে বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে। তবে এলাকার সচেতনমহল ও শিক্ষানুরাগীরা জানান, বাজারে বিক্রিত হওয়া সরকারী বইগুলো কখনোই পুরানো ছিল না। বইগুলো ওজন ২মন নয় কমপক্ষে ১৫মন হবে। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তা বইগুলো উদ্ধার না করেই সেখানেই রেখে চলে যায়। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে একটি মহল নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তারা জানান।