মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি লেয়ার পোল্ট্রি খামার বন্ধ করার জন্য ষরযন্ত্র করছে একটি সংষবদ্ধ চক্র। চক্রটি দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে খামারটি বন্ধে খামার মালিককে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের দয়াময় সেনের পুত্র দীনবন্ধু সেন ২০১৬ সালে কৃষি ব্যাংক জুড়ী শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা লোন নিয়ে এবং আরো ২০ লাখ টাকা ধার দেনা করে আড়াই হাজার মোরগি নিয়ে একটি লেয়ার পোল্ট্রি খামার চালু করেন। ২০১৬ সাল থেকে ১৭ সাল অবদি মোরগির ডিমের বাজারে ধ্বস নামায় লাভের মুখ দেখেননি দীনবন্ধু সেন। লোকসান গুনতে গুনতে সব পুঁিজ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান দীনবন্ধু সেন। তার মত উপজেলার অনেক খামারি লোকশানের কারনে ব্যবসা ছেড়ে দেন। কিন্তু দীনবন্ধু সেন হাল ছাড়েননি। ২০১৮ সালে জুড়ী বাজারের ডিলার বাহার মিয়ার কাছ থেকে বাকিতে মোরগির বাচ্চা, খাদ্য ও আনুসঙ্গীক সরঞ্জাম নিয়ে আবার খামার শুরু করেন। মোরগি বাচ্চা ছয় মাস লালন পালনের পর ডিম আসতে শুরু করে। ডিমের বাজার ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখতে থাকেন। আর তখনই দীনবন্ধু সেনের খামার বন্ধে একটি কুচক্রি মহল উঠেপড়ে লেগে যায়। তখন তারা খামারটি বন্ধে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে খামার মালিক দীনবন্ধু সেন বিপাকে পড়েন। তিনি সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা প্রণী সম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক বরাবর খামারটি রক্ষায় একটি লিখিত আবেদন করেন। খামার মালিক দীনবন্ধু সেন, প্রতিবেশী আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুস সহিদ, শাহজাহান মিয়া, ধনঞ্জয় সেন, নির্মল সেন, শিতাংশু দাস, বলাই বিশ্বাস বলেন, খামারের উত্তর পার্শ্বে রয়েছে একটি বাস বাগান, দক্ষিণে রয়েছে একটি মাছের খামার, পশ্চিমে রয়েছে জুড়ী নদী ও পূর্বে খামার থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ইউপি সড়ক। পোল্ট্রি খামারটি অন্য যে কোন খামারের চেয়ে ভালো এবং পরিবেশ সম্মত। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাস্তার কাজের কথা বলে এলাকার মানুষের কাছ থেকে ভূয়া স্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে খামারটি বন্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যখন সরকার পোল্ট্রিকে শিল্প ঘোষণা করেছে এবং পোল্ট্রি খামারিদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক তখন একটি পোল্ট্রি খামার বন্ধে এই ধরণের চক্রান্ত মেনে নেয়া যায়না। খামারটি রক্ষায় দীনবন্ধু সেনকে খামারের নিবন্ধন এবং পরিবেশ ছাড়পত্র দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবী জানান।