শিশু সোনিয়া। জন্মের ৭ মাস বয়স থেকেই ডান চোখের কর্নিয়ায় সাদা দাগ লক্ষ করেন তার হতদরিদ্র পরিবার। এক স্টুুডিও দোকানি ভুয়া হোমিও চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় শিশু সোনিয়ার ডান চোখটি চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
হোমিও চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সাড়ে তিন বছর বয়সি ছানি পড়া শিশুর একটি চোখ চিরতরে নষ্ট করে ফেলেছে রাজবাড়ী শহরের পাবলিক হেলথ এলাকার মাসুদ মাহবুব (৪০) নামের একজন স্টুডিও দোকানি। ছোটো একটি বলের মতো মাংসপিণ্ড বের হয়ে ঝুলছে চোখের বাইরে। সীমাহীন যন্ত্রণায় দিন-রাত কাটছে তার।
এ ঘটনায় ঐ শিশুর দাদা বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত মাসুদ মাহবুবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সোনিয়া রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর তালুকদার পাড়া গ্রামের কৃষি শ্রমিক রফিক সরদারের মেয়ে।
বর্তমানে শিশু সোনিয়ার ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা করানো হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই অপারেশন করে চোখটি ফেলে দিতে হবে বলে তারা জানিয়েছেন। দ্রুত অপারেশন না করলে দুটি চোখই নষ্ট হয়ে যাবে তার।
রাজবাড়ী থানার ওসি স্বজন কুমার মজুমদার জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অপচিকিত্সায় শিশুটির চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে শিশুটির দাদার দাখিলকৃত এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে মাসুদ মাহবুবকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।