রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির সময় পানিতে ডুবে এক মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার পাঁচ নম্বর আই-বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভোরে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা আই বাঁধ এলাকা পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলামিন কাশিয়াডাঙ্গা থানা হাড়ুপুর এলাকার মোহনলালের ছেলে। আলিিমনের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটিই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের। এসময় গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে ৭৯ বোতল ফেনসিডিল,দেশীয় তৈরী একটি শ্যুটার গান ও দুই রাউন্ড গুলি জব্দ করেন পুলিশ। এবিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে পদ্মা নদীর ৫ নম্বর গ্রোয়েন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোঁড়ে। পরে আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এবং গোলাগুলির সময় পালাতে গিয়ে আলামিন পদ্মা নদী ডুবে মারা যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধারসহ একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি ও ৭৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। আমিনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে এ ঘটনায় আহত পুলিশের এস আই রাশেদুল ইসলাম,মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল মতিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নিহত আলামিনের লাশ বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এব্যাপারে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,আলামিনের শরীরে গুলির কোনো চিহ্ন নেই। তাই ধারণা করা হচ্ছে গোলাগুলির সময় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাত দন্তের জন্য তার মরদেহটি রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।