ওয়াশিংটন যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২০১৫ সালের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিতে আবার ফিরে আসে; তবেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
রোববার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেছেন। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, পারমাণবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে নতুন করে আরো চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা।
কিন্তু ইরান বলছে, ২০১৮ সালের মে মাসে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার আগে তেহরান যে পরিমাণে তেল রফতানি করতো, ঠিক একই পরিমাণে তেল রফতানির সুযোগ পুনরায় না দেয়া পর্যন্ত আলোচনায় বসা হবে না।
হাসান রুহানি বলেন, আমরা সব সময় আলোচনায় বিশ্বাস করি… তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে এবং চুক্তিতে ফিরে আসে, তাহলে আজকেই, এই মুহূর্তে, যেকোনো জায়গায় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের প্রেসিডেন্টের আলোচনায় বসার প্রস্তাব এবং শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। পম্পেও বলেছেন, রুহানি একই ধরনের প্রস্তাব সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন এফ. ফেরিকে দিয়েছিলেন।
পম্পেও বলেন, ‘অবশ্যই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু এটা এমন একটি পথ, যে পথে আগের প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর হতে দিয়েছে। যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন এবং আমি মনে করি, এই চুক্তি ছিল একটি বিপর্যয়।’ সূত্র : রয়টার্স।