এবার শ্বশুরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে মিন্নি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলনের পরদিন এবার সংবাদ সম্মেলনে করছেন এ হত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসা রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেছেন, গতকাল তার শ্বশুর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা মনগড়া ও বানোয়াট। শ্বশুরের সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ দাবি করেছিলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। গণমাধ্যমের তথ্য, মিন্নির প্রতারণা ও রিফাত বাঁচাতে গাফিলতি এটাই প্রমাণ করে- সে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পরপর আমার শ্বশুর যে মামলা করেছেন, সেই মামলায় আমাকে এক নম্বর সাক্ষী করেছেন। এত দিন পর কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ? মামলায় প্রথমেই কেন আমাকে আসামি করেননি? আমার ধারণা, উনি কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বা কাউকে বাঁচানোর জন্য এসব কথা বলছেন।’

অন্যদিকে নয়ন বন্ডের বাড়িতে যাওয়া প্রসঙ্গে মিন্নি দাবি করেন, তিনি নয়ন বন্ডের বাসায় কখনো যাননি। নয়নের মা কেন এসব কথা বলছেন, কার প্ররোচনায় এমনটা বলছেন- সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার আছে।

উল্লেখ্য, বরগুনায় প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীর সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাতের বাবা আবদুর হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এখন পর্যন্ত মামলায় ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার আসামি নয়ন বন্ড গ্রেপ্তারের পর পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হন।

অলিউল্লাহ, তানভীরসহ অন্যরা জবানবন্দিতে বলেছেন, এই হামলায় বন্ড ০০৭ গ্রুপের অন্তত ২০ জন ছোট দলে ভাগ হয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। হামলার সময় পথচারী বা রিফাত শরীফের দলের কেউ যেন এগিয়ে আসতে না পারে, তা সামলানোর দায়িত্ব ছিল একটি দলের। হামলার পর সবাই যেন বিনা বাধায় পালাতে পারে তা নিশ্চিতে পাহারায় ছিল আরেকটি পক্ষ। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী এবং রিফাতের ছোট ভাই রিশান ফরাজী।