বাবা আব্দুল আজিজ গাজীর হাত ধরে পয়ত্রিশ বছর আগে কৃষিকাজ শুরু করেন সুলতান গাজী। পিতার আর্থিক অস্বচলতার কারনে ১৯৮৮ সনে দৈনিক ২০ টাকা বেতনে কাজ করেছে অন্যের কৃষি জমিতে। মাত্র তিন মাস অন্যের জমিতে কাজ করেন তিনি। এরপর ১৯৮৯ সনে নিজে এক বিঘা জমি ধান করালি নিয়ে বেগুন চাষ করেন। সেই বছরই বেগুন চাষ করে পান সফলতা। প্রতি সপ্তাহে ১০ মন বেগুন বিক্রি করে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করেন সুলতান গাজী। তার এ আয়ের টাকা দিয়ে কিছু জমি ক্রয় করে বসত ভিটে ও কৃষি জমি করেন। কথাটি অকপটে বললেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষকের বন্ধু সুলতান গাজী। নিজে প্রাথমিকের গন্ডি না পারালেও ৪ ছেলেকে করেছে সুশিক্ষিত। বড় ছেলে বিএপাশ করেছে, মেঝ ছেলে মাস্টার্স পড়ছে, সেজ ছেলে অনার্স ও ছোট ছেলে অষ্টম শ্রেনী লেখাপড়া করার পাশাপাশি তাকে কৃষিকাজে সহযোগীতা করছে। যেদিন থেকে সুলতান অন্যের বাড়িতে কৃষিকাজ করেছেন নিজের ও অন্য কৃষকের কষ্ট দেখে নেজেই কৃষকের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতেন। যখনই কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন তিনি স্বেচ্ছায় ছুটে গেছেন কৃষকের কাছে। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন ওরফে লুঙ্গি ভাই বলেন, আমি কৃষিকাজ শুরু করা থেকে সুলতান গাজীর কাছ থেকে সবসময় সহযোগীতা পেয়েছি। যখনই তাকে ডেকেছি সরাসরি তিনি আমার ক্ষেতে এসে পরামর্শ দিয়েছে। নাওভাঙ্গা গ্রামের কৃষক সফিকুল বাশার বলেন, তার কাছ থেকে আমি কৃষি কাজ করতে উদ্ধুদ্ধ হয়েছি। আমিরাবাদ গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, সুলতান গাজীর পরমর্শে কৃষিকাজ করে তিনি লাভবান হয়েছে। ১০ বছর থেকে তার পরামর্শ নিয়ে তিনি কৃষিকাজ করছেন। এরকম বারেক হাওলাদার, মাসুম চৌধুরী, দুলাল আকন, মাসুদ সিকদারসহ নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অনেক কৃষক আজ উপকারভোগী।
সুলতান গাজী জানান, কৃষিকাজে সবসময় আমি কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করি, তারাও আমার দেখা দেখি কৃষি কাজ করে সফল হয়েছে। যেখানেই কৃষকের সমস্যা হয় আমি ও জাকির হোসেন ছুটে যাই কৃষকদের কাছে।
#