বড়াইগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম না থাকায় নামফলক ভাংচুর

নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম না থাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নাম ফলক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গণপূর্ত বিভাগের এমন আচরণকে পক্ষপাতিত্বমূলক আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে নাগরিক কমিটির ব্যানারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, রোববার গণপূর্ত বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ছিলো। কিন্তু উদ্বোধনী নামফলকে উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নাম দেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থকেরা রোববার সকালে নাম ফলকটির মার্বেল পাথরে লেখা অংশটুকু ভেঙ্গে ফেলে। পরে ভেঙ্গে ফেলা উদ্বোধনী ফলকের উপর একটি ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি।


এদিকে, প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত না করা ও চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কালাম জোয়াদ্দার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা, বনপাড়া পৌর আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরীফুন্নেসা শিরিন, আ’লীগ নেতা আব্দুস সোবহান প্রামাণিক, জাকির সরকার ও ফেরদৌস উল আলম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, জেলা গণপূর্ত বিভাগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জামায়াতপন্থি কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের মাঝে বিভেদ রেখে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থ লোপাটের জন্যই উপজেলা পরিষদকে প্রকল্পের বিষয়ে কোন কিছু অবহিত করেনি। তারা অবিলম্বে এসব কর্মকর্তাদের অপসারণসহ উপজেলা পরিষদকে সম্পৃক্ত করে স্বচ্ছভাবে কাজ করার দাবী জানান ।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, এটি মূলত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাজ, আমরা বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে কাকে ডাকা হবে বা হবে না সেটা ফাউন্ডেশন ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব।