অ্যালোভেরাকে বাংলায় বলা হয় ঘৃতকুমারী। সবুজ সরস এ উদ্ভিদের ভেষজ গুণাবলি নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। রুক্ষ শুষ্ক ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করতে আমরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এটি যে শুধু সৌন্দর্যচর্চারই কার্যকরি তা কিন্তু নয়। হাজার গুণে সমৃদ্ধ এই অ্যালোভেরা ওজন কমাতেও যথেষ্ট কার্যকারি একটি উপাদান।
ক্রনিক প্রদাহের কারণে শরীরে মেদ জমে। অ্যালোভেরা জুসের অ্যাণ্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান এই প্রদাহ রোধ করে ওজন হ্রাস করে থাকে। পুষ্টিবিদগণ এই সকল কারণে ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে একটা বিষয়ে সতর্ক থাকবে হবে সবাইকে। অ্যালোভেরার রস বেশি পরিমাণে শরীরে গেলে পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া হতে পারে। তাই অ্যালোভেরার রস খান সঠিক পরিমাণে।
কি পরিমাণ অ্যালোভেরার রস আমাদের শরীরে প্রয়োজন তা জানা থাকা দরকার।
এক গ্লাস পানিতে ৫০ মিলিলিটার অ্যালোভেরা রস মিশিয়ে খেতে হবে। ব্লাড সুগার, হজমের সমস্যা, পাকস্থলির সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে এই রস। দ্রুত শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার রস অত্যন্ত কার্যকরী।
তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অ্যালোভেরার রস খোয়া নিষেধ।
ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্ভবতী মহিলা বা নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতিকর এই রস। কারণ অ্যালোভেরার রস জরায়ু বা ইউটেরাসের সংকোচন ঘটায়। এ ছাড়াও অন্ত্রনালীতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
সরাসরি অ্যালোভেরা জুস খেতে পারেন অথবা পানি ও ফলের রস মিশিয়েও নিতে পারেন ।
যেহেতু অ্যালোভেরা গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, তড়িৎ ভারসাম্যহীনতা, ভিটামিনের ঘাটতিসহ নানা ধরণের আভ্যন্তরীণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। খারাপ বা পূর্ব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিজ্ঞতা থাকলে এটি সেবন এড়িয়ে চলুন।