পাবনার আটঘরিয়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতাউর রহমানের বিরুদ্ধের একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি বাবদ বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়েও অতিরিক্ত টাকা জোরপূর্বক আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় শিক্ষার্থীর অধ্যক্ষকে তালামেরে এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এঘটনায় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে ও ফেরতের দাবিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে আটঘরিয়া বাজারে ও কলেজ প্রাঙ্গণে এক বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদসভা করে কলেজে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে অধ্যক্ষকে প্রায় একঘন্টা অবরুদ্ধ করে রখেন।
জানাযায়, ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতাইর রহমান কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বোর্ড নিধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছে। একাদশ শ্রেনীতে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ১২’শ টাকা থেকে ১৬’শ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করে নিজ পকেট ভারী করছে।
একাদশ শ্রেনীতে ভর্তিকৃত ছাত্র ওমর ফারুক জানান, আমার কাছ থেকে ভর্তি বাবদ ১৫’শ টাকা দাবী করেন। অনেক কষ্ট করে আমি ১২’শ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ভর্তি বাবদ চেয়েছিল্ আমি ১৫ শ টাকা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও কয়েক জন ছাত্র জানান, আমাদের কাছ থেকে একই কায়দায় ভর্তি বাবদ বোর্ড নিধারিত ফির চেয়েও বাড়তি টাকা নিয়েছে। আমরা অধ্যক্ষকে বারংবার বাড়তি টাকার নেওয়ার বিষয়ে বলার শর্তেও তিনি কোন তোয়াক্কা করছে না।
এবিষয়ে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আতাউর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি অবরুদ্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ভর্তি বিষয়টি সম্পুর্ণ অনলাইন ভিত্তিক। এখানে আমার কোন হাত নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি আলাদা কমন রুম, ক্লাশ রুম এবং প্রতিটি ক্লাশে ফ্যান থাকতে হবে। আমি তাদের দাবি গুলো মেনে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে এগুলো করা হবে। আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও কলেজে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে প্রায় একঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে আমাকে। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী সরকারি কলেজ ভেবে আমরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান এখানে ভর্তি হতে এসেছি। কিন্তু অতিরিক্ ফি দিয়ে এই কলেজে লেখা-পড়ার খরচ যোগন দেয়া আমাদের অভিভাবকদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের দাবী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেক করা।