নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে উপজেলার অন্তত ২শ গ্রামের লোকজন পানি বন্দি রয়েছেন। উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন রাস্তার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গ্রামীন অবকাটামো সকল রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে প্রায় দেড় হাজার ফিসারীর মাছ। সরকারি ভাবে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন না করায় বন্যার্ত পরিবারগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয় সমূহে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় এমপি মানু মজুমদার উপজেলার পোগলা, বড়খাপন, রংছাতি, খারনই, লেংগুরা, নাজিরপুর ও কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার, এসিল্যান্ড রুয়েল সি সাংমা, ওসি মাজহারুল করীম, ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান হাদিছুজ্জামান হাদিছ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলী বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান সেলিম, পলাশ কান্তি বিশ্বাস ও আব্দুল আজিজ প্রমূখ।
কলমাকান্দা উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বলেন, পরপর দু’দফায় টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়ে উপজেলার সর্বত্রই ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তাই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক, দিনমজুর ও মৎস্যচাষীদেরকে পুর্নবাসনে কর্মসূচি গ্রহণ, বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট মেরামত, ধসে যাওয়া ব্রিজ কালভার্ট পুননির্মাণ করার বিষয়ে সদয় বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।