উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর অব্যহত ভারী বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চন্ডিমারী ১নং স্পার বাঁধ, কুটিরপাড় বালুর স্পার বাঁধ ও গোবর্ধন এর ২নং স্পার বাঁধের মধ্য দিয়ে প্রবল স্রোতে প্রবল ভাঙ্গঁন দেখা দিয়েছে। সেখানকার স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উত্তরের জেলা ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম ও লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা, সানিয়াজানসহ কয়েকটি এলাকায় প্রায় ১৫টি গ্রাম এবং আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে প্রায় ৭টি গ্রাম প্রবল স্রোতে প্লাবিত হয়েছে। প্রবল স্রোতে ভাঙ্গঁনের প্রবল দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীর তীরবর্তি চরাঞ্চলের এলাকাগুলো। এতে পানির তোড় ছুটে চলেছে নদীর তীরবর্তি গ্রামগুলোতে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্রে জানাগেছে, লালমনিরহাট তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার ১১ জুলাই সকাল ১০টায় বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার কম থাকলেও দুপুর দেড়টার দিকে ৮ সেন্টিমিটার ,বিকেল ৪টার দিকে ২৫ সেন্টিমিটরি এবয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেড়ে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে ভাঙ্গঁন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুখ জানান, প্রবল স্রোতে ওই সব এলাকার স্পাধ বাঁধের দিকে ভাঙ্গঁন দেখা দিয়েছে। আগামী বর্ষার আগে নতুন করে বাধঁ নির্মাণ করা না হলে এমতাবস্থায় ভাঙ্গঁন অব্যহত থাকবে। মহিষখোঁচা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, তিস্তার পানির প্রবল স্রোতে পানিবন্দি কবলিত এলাকা ও ভাঙ্গঁন কবলিত এলাকাগুলোর বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এব্যাপারে লালমনিরহাট পাউবোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বজলার রহমান জানান, ভাঙ্গঁন কবলিত এলাকাগুলো ঘুড়ে দেখা হয়েছে আগামীতে বাধঁ নির্মানের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হবে। বরাদ্দ আসলে নির্মাণ কাজ করা হবে। পাউবো ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো; আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।