জাতীয় পতাকাবিহীন ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয় জাতীয় পতাকাবিহীন। এ কারণে লোকজন বলাবলি করছেন ভূমি অফিসে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি।
জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)-এ বলা আছে সরকারি অফিস আদালত বন্ধের দিন ব্যতিত প্রতি কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি অফিস চলে উলটো।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে পতাকাবিহীন অফিস করতে দেখা যায় ভূমি উপ-সহকারি মো. জিহাদুল ইসলামকে।
পরে স্থানীয়রা বলেন,এ ভূমি অফিসে প্রায়ই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। যদি অফিসের পাশে বাড়ির এক বৃদ্ধা মহিলা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তবে এই অফিসে জাতীয় পতাকা দেখা যায়।
ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশ না শর্তে এক অবসর প্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বলেন, ভূমি অফিসে কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার ঘটনাটি জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান জানানো। এটা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল।
এই ভূমি অফিসের খাজনা খারিজ করতে আশা অনেকেই বিকেল বেলায় চা স্টলে আলোচনা করেন ভূমি অফিসে খাজনা খারিজ করতে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া নায়েব কাজ করে না। এভাবে চলছে তাদের অনিয়ম ও দূর্নীতি।
প্রতিটি জমির খারিজ করতে ভূমি অফিসের নায়েবকে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হচ্ছে। আবার জমির কোনো কাগজ পত্র গড়মিল থাকলে তাতে আবার অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। খারিজ করতে আসা কে গরিব কে ধনী তাদের কাছে কোনো রকম ছাড় নেই।
ফলে ভূমি অফিসে চিহিৃত ব্যক্তিরা এসব খারিজ করতে আসা লোকজনের হাতে কাগজপত্র দেখে দরদাম করেন। ভূমি অফিসে সাধারন মানুষ খাজনা খারিজ করতে এসে সীমাহীন হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন প্রতিদিন।
কথায় বলে, খাজনার চেয়ে, বাজনা বেশী, ৫ টাকার ঘোড়া নই, ৮টাকার লাগাম। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মাঝে উপহার দিতে চাচ্ছেন অনিয়ম দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু কিছু দূর্নীতিবাজ ব্যক্তি সব নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের দাবী নায়েব মো: জিহাদুল ইসলাম বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তঅ জিহাদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার অফিসের কাজের মেয়ে (পাশের বাসার বৃদ্ধা) না থাকায় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত আজমেরী হক এর সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, কর্মদিবসে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবশ্যই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। যদি এমনটা হয়ে থাকে আমি দ্রুত খোঁজ নিয়ে পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।