আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সুষ্ঠ পরিকল্পনা, ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমে সফল দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক আদিবাসী সাঁওতাল শিরিল মুর্মু।
ধান চাষ করে সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মুজুরি পরিশোধ করে চাষীরা লাভবান না হলেও উপজেলা কৃষি বিভাগের পরার্মশে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক শিরিল মুর্মু সাথী ফসল চাষ করে লাভবান ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিরিল মুর্মু দুই বছর আগে ৬০ শতক জমিতে বারি আম-৪ জাতের দেড় শতাধিক চারা রোপণ করেন এবং এবছর একই জমিতে বন্ধন জাতের করলা,পাইয়োনিয়ার জাতের ভুট্টা এবং হাইব্রীড জাতের মরিচ চাষ ও বাকি ফাঁকা জায়গায় চালকুমড়া, ঝিঙ্গা,পুঁইশাক এবং কলমি শাক চাষ করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যে জমিতে বছরে এক বা দুই ফসল হত সেসব জমিতে এখন একসাথে একাধিক ফসল ফলিয়ে তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান।
আদিবাসী সাঁওতাল শিরিল মুর্মু জানান,কৃষি আমার প্রধান পেশা তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৬০ শতক জমিতে বারি আম-৪ জাতের দেড় শতাধিক চারা রোপণ করলেও এবছর শুধু ৫টি গাছে ১৫৫০০ টাকার আম এবং সাথী ফসল হিসেবে করলা ৫০০০০ টাকা, ভুট্টা ১২০০০ টাকা, মরিচ ১০০০০ টাকা বিক্রি করেন। তিনি আরো জানান, নিজের জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অধিক ফসল এবং লাভবান হওয়া প্রধান আশা।
তাঁর সফলতার কথা শুনে অনেকেই এখন অনেকেই সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এবং কয়েক বছর থেকে কৃষি বিভাগের দিক-নির্দেশনায় এক জমিতেই কয়েক প্রকার ফসল চাষাবাদ করে অনেকেই এখন সফল।
এছাড়াও আদিবাসী শিরিল মুর্মু এবছর এক একর জমিতে আম্রপালি জাতের আম বিক্রি করেন দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং টার্কি মুরগির খামারসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ করে হয়ে উঠেছেন এলাকার একজন সফল কৃষক।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আফজাল হোসেন জানন, কৃষিখাতকে উন্নয়নমুখী ও লাভজনক করতে উপজেলার আবাদযোগ্য জমিতে সাথী ফসল আবাদে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কেননা সাথী ফসল চাষে একই শ্রমে ও একই খরচে হয়ে যায় এতে কৃষকরা বেশি লাভবান হয়। যার অন্যতম উদাহরণ শিরিল মুর্মু।