স্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে ধরনায় বসেছেন মঞ্জিলা খাতুন নামের এক তরুণী।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে প্রেমিক আবু সাঈদের বাড়িতে ধরনা দেওয়ার শুরুতে বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে তার মোবাইল ভেঙ্গেচুরে দিয়েছে।
এর আগেই পালিয়ে গেছে প্রেমিক আবু সাঈদ। মঞ্জিলা বলেন, আমরা গরিব। তাই টাকা দিয়ে মিটমাট করতে চায় তারা। কিন্তু টাকা দিয়ে তো আর প্রেম ভালবাসা কেনা যায় না। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাঁশঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনা খাতুন বলেন, এ গ্রামের শামসুর রহমানের মেয়ে মঞ্জিলা খাতুন ও রেজাউল বকসের ছেলে আবু সাঈদের মধ্যে টানা ছয় বছর ধরে প্রেম চলছিল। তাকে বিয়ে করবে বলে আবু সাঈদ তার সাথে দৈহিকভাবে মেলামেশাও করে বলে দাবি মেয়েটির।
তিনি জানান, মেয়ের বাবা তাকে অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আবু সাঈদ তা ভেঙ্গে দিতো। দিন চারেক আগে মঞ্জিলা খাতুন আবু সাঈদকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে তার বাড়িতে যান। বাড়ির লোকজন কৌশলে তাকে বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় ঠেলে পাঠালে সেখানেই অবস্থান নেন মঞ্জিলা। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এমন অবস্থায় থাকার পর তাকে বলে কয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। মেয়েটি এ সময় বারবার বলেন ‘সাঈদ আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আমি ভিন্ন পথ অবলম্বন করবো’।
মঞ্জিলা জানান, তিনি এইচএসসি পাস করার পর ঢাকায় ক্রাউন কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। এর আগে গ্রামের ইটভাটার ম্যানেজার আবু সাঈদ তাকে চলার পথে বারবার উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মঞ্জিলা। এই সুযোগে সাঈদ তাকে দৈহিকভাবে ব্যবহার করেছেন দাবি করে তিনি বলেন ‘সে আমাকে বিয়ে করবে কথা দেয়’। এ বিষয়ে জানার জন্য ক’দিন আগে তার বাড়িতে যান মঞ্জিলা। খবর পেয়ে আবু সাঈদ পালিয়ে যান। মঞ্জিলা অভিযোগ করে বলেন আবু সাঈদের বাবা টাকা দিয়ে মিটমাট করতে চায়। তিনি বলেন ‘আমি বলেছি টাকা দিয়ে প্রেম ভালাবাসা বেচাকেনা করা যায় না’।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মঞ্জিলা ফের ধরনায় বসেছেন আবু সাঈদের বাড়িতে।
মঞ্জিলা জানান, এখন তিনি তার বাবা মার কাছে আশ্রয় পাচ্ছেন না। আবু সাঈদ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মা খোদেজা ও বোন সাবিহা তাকে মারধর করে বের দিয়েছে। এখন তিনি কী করবেন, কোথায় দাঁড়াবেন জানালেন মঞ্জিলা।