তের টাকা দামের সিগারেট খাবেন আর এক হাজার টাকার মোবাইলে এমবি ব্যবহার করবেন তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু চাউলের দাম যদি কেজি প্রতি দু’টাকা বাড়ে তখন সাংবাদিকরা চাউলের দাম বাড়ল কেন বলে লাফান । চাউলের দাম এক’শ টাকা কেজি হওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এসব মন্তব্য করায় উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মওলা কৃষি খামারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সাথে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন,জেলা প্রশাসক হিসেবে বলা কঠিন তাই একজন কৃষক হিসেবে বলছি । বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে উল্লেখ পূর্বক প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন,কাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছে,আমার মত যারা বেশী বেতনে চাকরি করছে তাদের আর ব্যবসায়ীদের। কিন্তু শতকরা আশি ভাগ কৃষকের কারণে ভাগ্যের এদের উন্নয়ন হচ্ছে। সকলে মিলে ভাল না হলে কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন করা কঠিন। তিনি কৃষকদের অভিজ্ঞতা ও কর্মের ভূঁয়সী প্রশংসাও করেন। কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,বিএসআরআইএর ডিজি ড. আমজাদ হোসেন,অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক সার্বিক শফিকুল ইসলাম,ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মমতাজ মহল,ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকি,কৃষি কর্মকর্তা আঃ লতিফ ও আওয়ামীলীগ নেতা ইসাহক আলী মালিথা। এছাড়াও সংগঠনের কেন্দ্রিয় সভাপতি কুল ময়েজ,সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম,জেলার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম,বঙ্গবন্ধু পদক প্রাপ্ত কৃষক কপি বারী,মাছ হাবিব,গাজর জাহিদ,লিচু কিতাব ও বীজ চিন্ময় সেন বক্তব্য দেন।