আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের পারফরমেন্স ও লড়াকু মনোভাবের প্রশংসাও করেছেন তিনি। তাই ক্রিকেটারদের অযথা সমালোচনা করতেও বারণ করেন তিনি।

চীন সফর শেষে দেশে ফিরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার প্রসঙ্গও আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আমার ছেলেদের কখনো নিরুৎসাহিত করি না। আমি বরং ফোন করে ওদের বলি, খেলো তোমরা, তোমরা ভালো খেলেছ। ৩৮১ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩৩৩ রান করল। আপনারা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে আপনারা খারাপ বলবেন কীভাবে? আমার ছেলেদের কেউ খারাপ বলতে পারবেন না।’

বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে যেতে না পারলেও সামগ্রিক পারফরম্যান্সে খুশি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে এত দূর যেতে পেরেছি, এটা অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের কিছু খেলোয়াড়, সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এরা বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। আমি দোষ দেব না। খেলা এমন একটা জিনিস, অনেক সময় কিন্তু ভাগ্যও লাগে। সব সময় যে সবকিছু ঠিকমতো হবে, একই রকম হবে, সেটা নয়। ক্রিকেটাররা সাহসী মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করতে পেরেছে, আমি এটার প্রশংসা করি।’


সেমিফাইনালে খেলার আশা নিয়ে গেলেও বাংলাদেশ শেষ করেছে অষ্টম স্থানে। তথাপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রিকেটারদের দোষ দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এতগুলো দেশ খেলেছে। এর মধ্যে চারটা দেশ মাত্র সেমিফাইনালে উঠেছে। তাহলে কি আপনারা বলবেন বাকিরা সবাই খুব খারাপ খেলেছে? আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করেন কেন? নিজেদের এত খারাপ বলি কেন? বরং আপনারা এটা বলেন, যে একেকজন জাঁদরেল জাঁদরেল খেলোয়াড়, দীর্ঘদিন যারা খেলে খেলে অভ্যস্ত, তাদের সঙ্গে মোকাবেলা করে আমাদের ছেলেরা খেলতে পেরেছে। তাদের খেলায় আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব তো আমি দেখি না।’

তাঁর সরকারের প্রথম মেয়াদে আইসিসি ট্রফি জয় এবং প্রথম বিশ্বকাপে খেলার বিষয়টি মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রথম যখন সরকারে ছিলাম, আমাদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্রীড়া মন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই আমাদের মনোযোগ ছিল, আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেন বিভিন্ন খেলাধুলায় মনোযোগী হয়। সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম।