সরকারের গ্রাম বাংলার উন্নয়নে এলজিইডি পাটগ্রাম

বর্তমান সরকারের আমলে গ্রাম বাংলা এখন প্রায় শহরে ন্যায় পরিণত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের সাধারন মানুষের চলাচলে রাস্তাঘাট শহরের ন্যায় তৈরী করে চলছে। এমন দৃশ্য দেখা গেল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায়। এসব গ্রাম বাংলার উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করে আসছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর লালমনিরহাট ও রাস্তাঘাট বাস্তবায়ন করে আসছে লালমনিরহাট এলজিইডির তত্বাবধানে পাটগ্রাম উপজেলা এলজিইডি। উপজেলার টেপুরগাড়ী বি.কে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেয়ে দেখা যায় একটি দ্বিতল ভবন। কাজটি বাস্তবায়ন করেন পাটগ্রাম উপজেলা এলজিইডি। ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা জানান, বিদ্যালয়ের কাজটি এক এর কাজ করা হয়েছে। যার টিকসই হবে বহুবছর। পাটগ্রাম উপজেলা সরে জমিনে দেখা যায়, পাটগ্রাম উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক সমুহ ইতি মধ্যে পাকা হয়েছে। উপজেলা ঘুরলে আরও দেখা যাবে মাঝে মধ্যেই দৃষ্টি নন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। যা এলাকার সৌন্দর্য আগের তুলনায় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্যালয় ভবন গুলো দুর থেকে দেখতে অত্যন্ত চমৎকার ।

স্থানীয় জনগন, কৃষক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীর সাথে আলোচনা করে জানা যায় যে, পাকা রাস্তার কাজ সঠিক হওয়ায় কৃষকগন তাদের কৃষি পন্য সহজে বাজারে নিতে পারছে। পাশা পাশি এলাকার ছাত্র / ছাত্রীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষার মান সম্মত পরিবেশ বজায় রয়েছে। এ জন্য স্থানীয় জনগন , কৃষক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, স্থানীয় সংসদ সদস্যকে স্বাগত জানান। এছাড়াও এডিপি প্রকল্প হতে বাস্তবায়িত জোংড়া ইউনিয়নের জোংড়া পাকা রাস্তা হতে আশরাফ আলীর বাড়ী গামী রাস্তা, জগতবেড় ইউনিয়নের জগতবেড় পাকা রাস্তা হতে নবীবর চেয়ারম্যানের বাড়ী গামী রাস্তা, শ্রীরামপুর হাই স্কুল হতে সোনাবাবুর বাড়ী গামী রাস্তা, ও বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট হতে একরামুলের বাড়ী গামী রাস্তা ঘুড়ে দেখা যায় , রাস্তাগুলো আরসিসি দ্বারা বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং কাজের গুনগত মান অত্যন্ত ভালো। এভাবে ভিতরের রাস্তা গুলো উপজেলা পরিষদ থেকে বাস্তবায়ন করায় স্থানীয় কৃষকগন অত্যন্ত আনন্দিত এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে রাস্তাগুলো করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।

উপজেলা প্রকৌশলী, পাটগ্রাম এর সাথে এব্যপারে আলোচনা করে জানা যায় , লালমনিরহাট ১ আসন (হাতিবান্ধা-পাটগ্রাম) সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের নির্দেশনায় ছিট মহল উন্নয়ন প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্প হতে গত অর্থ বৎসরে প্রায় ১০০ কিঃমিঃ রাস্তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১৫ কিঃমিঃ রাস্তা বাস্তবায়ন চলছে। ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৮-১৯ ইং অর্থ বছরে নির্মান শুর করা হয়েছিল যার মধ্যে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাস্তবায়ন কাজ ইতি মধ্যে যথাযথ ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। অবশিষ্ট বিদ্যালয় ও রাস্তাঘাট গুলোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ এর এডিপি প্রকল্প থেকে গত ১৮-১৯ ইং অর্থ বছরে প্রায় ৮০০ মিটার আরসিসি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। যা এলাকার কৃষকগনের যাতায়াত সুবিধা সহ কৃষি পন্য সহজে বাজার যাত করা সম্ভব হচ্ছে। এক কথায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন এখন কৃষকের দ্বার গোড়ায়। লালমনিরহাট এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে.এম আমিরুজ্জামান বলেন, সরকারী অর্থায়নে বরাদ্দের কাজ সঠিক নিয়মে বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। সে মতে কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবশিষ্ঠ কাজও সঠিক ভাবে হচ্ছে এবং হবে জানান তিনি।