পাকশীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে সোমবার ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার অংশগ্রহনে এসময় মানব বন্ধন ও তিন ঘন্টা ব্যাপী প্রতীকি অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। সকাল সাড়ে দশটা হতে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কর্মসূচি চলাকালে ষ্টেশনের উপর দিয়ে চলাচলকারী খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস, রাজশাহী গামী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ও টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেসের সামনে অবস্থান নিয়ে ১০ মিনিট করে বিলম্বিত করা হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডর গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নিহত সেলিমের পুত্র তানভাীর রহমান তন্ময়, মুক্তিযোদ্ধা হবিবুল ইসলাম হব্বুল, ফজলুর রহমান ফান্টু, সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, গোলাম মাহমুদ বুলবুল, পৌর আঃ লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসাহক মালিথা, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, (নারী) আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, পাকশীর আঃ লীগ নেতা জহুরুল ইসলাম মালিথা , যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তরা বলেন, এই হত্যাকান্ডের পর পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। পুলিশ এপর্যন্ত কোন চার্জশীটও দাখিল করতে পারেনি। অবিলম্বে প্রকৃত আসামী গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে মামলার কার্যক্রম শুরু না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক নয়টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকশীর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় আঁততায়িদের গুলিতে আহত হয়ে ঈশ^রদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান। সেলিম মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীরা পাকশী, ঈশ্বরদী, পাবনা ও ঢাকাতে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ধারাবাহিক ও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করলেও এখনও পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোন সুরাহা করতে পারেনি।