বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১০

বিশ্বনাথে সরকারি টিউবওয়েলের পানি খাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অনন্ত ১০জন আহত হয়েছেন। (৬জুলাই)গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সাজ্জাদ মিয়া ও আনা মিয়া লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে নারীসহ ১০জন আহত হন। আহতরা হলেন-উকিল আলী (৫৫), দিলারা বেগম (৪০) শামীম আহমদ (১৯), রিতা বেগম (১৮) হাছান আহমদ (১৬) আসক আলী (৫৫), রশিদ আলী (৪০) নানু মিয়া (৪০), আনা মিয়া (৩০) রেশমা বেগম (৪০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানাগেছে, উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার বাড়িতে একটি সরকারি টিউবওয়েল রয়েছে। টিউবওয়েলটি নষ্ট হওয়ায় শনিবার সকালে মেরামত করার জন্য সাজ্জাদ মিয়া বাড়িতে বসবাসরত সকলের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু আনা মিয়া পক্ষের লোকজন টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করে। এরপর টিউবওয়েলে পানি নিতে আসেন আনা মিয়ার লোকজন। এতে সাজ্জাদ মিয়া টিউবওয়েল মেরামতের জন্য টাকা না দিয়ে পানি নেয়ার জন্য আসার কারন চানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথাকাটাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের নারীসহ ১০জন আহত হন। বাঁধা দেন

আহত উকিল আলী সাংবাদিকদের বলেন, সাজ্জাদ মিয়ার সাথে কথাকাটাকাটি হলে আমি শালিসে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্ত্রীসহ ছেলে-মেয়েকে আনা মিয়ার লোকজন দা, ঝাঁটা অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করেছে।
আনা মিয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাই সাজ্জাদ মিয়ার সাথে টিউবওয়েল সংক্রান্ত বিষয়ে কথাকাটি হলে উকিল আলীর লোকজন জড়িত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, বিষয়টি এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আপোষ-মিমাংশা চেষ্ঠা করা হচ্ছে।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এবিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।