২৭ বছর পর প্যারোলে মুক্তি পেলেন রাজীব গান্ধী হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরণ। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত শুক্রবার এক মাসের জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেয় মাদ্রাজ হাই কোর্টে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মেয়ের বিয়ের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিল নলিনী। কিন্তু, তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।পরে মার্চে একই আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি প্রশাসন।
বাধ্য হয়ে এপ্রিল মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় দেশের সবচেয়ে বেশিদিন জেলবন্দি থাকা এই মহিলা। মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতির জন্য ৬ মাসের জন্য মুক্তি চেয়েছিল। এর ভিত্তিতে গত ২৫ জুন শুনানি হয় আদালতে। তারপরই ৫ জুলাই নলিনীকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। শুক্রবার সেই নির্দেশ মেনে মাদ্রাজ হাই কোর্টে হাজির হন নলিনী। উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর নলিনীকে ৬ মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তার বদলে ৩০ দিনের জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তির আদেশ দেয়া হয়। শুক্রবার এই মামলার শুনানির পর নলিনীর মুক্তির জন্য তামিলনাড়ু সরকারকে ১০ দিনের সময় দিয়েছেন দুই বিচারপতি। পাশাপাশি নলিনীকে কোনও সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া বা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলম (এলটিটিই)। তাতেই মৃত্যু হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল মুরুগান, সান্থান, পেরারিভালান, জয়াকুমার, রবিচন্দ্রন, রবার্ট পায়াস ও নলিনী। প্রথমে এদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জবীন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।