নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চন্ডিগড় ইউনিয়নের পূর্ব রগজুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে বানিয়াপাড়া মাতৃজাগরনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়া আক্তার (১৩) এনজিও কর্মীর সহায়তায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হ্যালো আই এম প্রকল্পের কর্মী নিরন্তর বনোয়ারী ও আফরোজা খাতুন সোনিয়া প্রকল্পের কাজে উক্ত গ্রামে গেলে সেখানে খবর পায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়া আক্তার (১৩) এর সহিত দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের গিলাগড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম(১৮) এর বিবাহ হচ্ছে। খবর পেয়ে এনজিও কর্মীদ্বয় মারিয়ার বাড়ি গিয়ে মারিয়ার সাথে কথা বললে মারিয়া জানায় আমার বাবার অভাবের সংসার। আমার বাবা দিনমজুর। নয়নযোগী আশ্রমে দিনমজুরী করে কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন। এরি মধ্যে আমার লেখাপড়ার খরচ যোগান দেয়া আমার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আমি লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজে একজন সুনাগরিক হিসেবে বেচে থাকতে চাই। মারিয়ার কথা শোনার পর এনজিও কর্মীদ্বয় স্থানীয় মাতাব্বর মোঃ হাসিম উদ্দিন মড়ল ও নয়নযোগী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিত্যানন্দ গোস্বামী (নয়নযোগী) এর সহিত যোগাযোগ করেন এবং তাদেরকে মারিয়ার বিয়ের বিষয়ে অবহিত করে বলেন যে, মারিয়ার এখনো বিয়ের বয়স হয়নি এটি বাল্যবিবাহ। এবং বাল্যবিবাহের সুফল কুফল ও বাংলাদেশ সরকারের আইন বিধি বিধান নিয়ে আলোচনা করার পর উক্ত ব্যাক্তিদ্বয় এলাকার অন্যান্য লোকজন, মারিয়া ও আজিজুলের বাবার উপস্থিতিতে বিয়ে বন্ধ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে মারিয়ার পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত মারিয়ার থাকা খাওয়া এবং লেখাপড়ার দায়িত্ব নয়নযোগী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা নিত্যানন্দ গোস্বামী দায়িত্ব গ্রহন করেন।
এ ব্যাপরে উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আালতাবুর রহমান কাজল বলেন, আমাকে বাল্যবিবাহের কথা এনজিও কর্মী নিরন্তর বনোয়ারী মোবাইল ফোনে অবহিত করেন। এ সময় আমি নেত্রকোনায় ছিলাম। আমি এনজিও কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই যে তাহারা এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে উক্ত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে মেয়েটির একটি সু-ব্যাবস্থা করার জন্য।