পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের শান্তিপুর বেতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কোন্দলে জের ধরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে আহত চাচা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান। নিহত আবু তালেব আব্দুস সালামের ছেলে। একই ঘটনায় মারা গেলেন আপন দুই ভাই। এর আগে ভাতিজা রিপনের ছুরিকাঘাতে ঘটনার দিন চাচা আবুল কালামের মৃত্যু হয়। ঘটনার ৮ দিনের মাথায় মারা গেলেন আহত আর এক চাচা আবু তালেব। সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন আবু তালেবের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঘটনা স্থলে ছুটে যান এবং শোকাহত পরিবার কে সমবেদনা যাপন কালে তিনি বলেন, এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের জড়িত ঘাতকদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারের আমলেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাজাহান জানান, বাড়ীর আঙ্গিনায় একটি গাছ নিজের সিমানায় দাবী করে দুই ভাই আবুল কালাম ও আবু হানিফের পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধ কে কেন্দ্র করে গত ২৬ জুন রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাতিজা রিপন সহ বেশ কয়েক জন হামলা চালিয়ে কালাম সহ চারজন কে আহত করে, আহত আবু তালেব, জামাল হোসেন ও সাজাই হোসেন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গুরুতর আহত হওয়ায় আবু তালেব কে পাবনা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক, সেখানে চিকিৎসাধীনরত অবস্থায় আবু তালেব মারা যান। উপজেলা আ.লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন জানান, ঘাতক রিপন মাদক সাথে জড়িত হয়ে এলাকায় বেশ কিছু যুবকদের নিয়ে অন্যায় ও অত্যাচার করে আসছে, রিপনের বাড়ীতে রাতের বেলায় উঠতি বয়সের যুবকদের আসা-যাওয়া দেখা যায় বলে এলাকার অনেকেই জানেন। সবার ধারণা রিপন কোন জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িত। উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মোল্লা জানান, ঘাতক রিপন তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে নির্মম ভাবে তার চাচাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে ঐ দিনই একজন মারা যায়। ঘটনার ৮ দিন পর আর এক চাচা মারা গেলেন। গুরুতর আহত আর একজনের অবস্থা আশষ্কাজনক। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবী জানান এলাকাবাসী।