এক খাল খননেই বদলে গেছে হাজারো কৃষকের ভাগ্য

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের গুরুদাসপুরে এক খাল খননেই বদলে গেছে হাজারো কৃষকের ভাগ্য। খাল খননের ফলে একদিকে যেমন জলাবদ্ধতা দূর হয়েছে, অপরদিকে জমির উর্বরতা বৃদ্ধির ফলে ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ফসল ঘরে তোলাও সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় খরচ কমেছে অর্ধেক। একদিকে খালের পানিতে নৌকা ভাসিয়ে ফসল ঘরে তোলা ও জমিতে সার নিয়ে যাওয়া খুব কম সময়ে হচ্ছে। অপরদিকে শুস্ক মৌসুমে খালের পানি স্যালো মেশিনে করে জমিতে প্রয়োগ চলছে। এছাড়াও খালের পাড় দিয়েই একটি রাস্তা নির্মাণ করার ফলে স্থল ও জলপথ দুইভাবেই উপকৃত হচ্ছেন কৃষক। স্থানীয় কৃষক সোহাগ আলী মোল্লা, সাহাদাত রহমান, হান্নান সরদার ও সাবেক ইউপি সদস্য সলিম উদ্দিন সরকার জানান, বিএডিসি কর্তপক্ষ আমাদের এই খাল খনন করায় আমাদের শতশত বিঘার জমি জলাববদ্ধতা মুক্ত হয়েছে। এতে হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছে। শুধু আমরা নয়, পাশের তাড়াশ উপজেলার কয়েক গ্রামের কৃষকরাও উপকৃত হয়েছে। তারাও আমাদের মাঠে ফসল উৎপাদন সহ চাচকৈড় বাজারে যাতায়াত করে থাকে। এই খালের নৌকা ব্যবহার করে বর্ষা মৌসুমে অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারছে। আমরাও আমাদের কাজে তাড়াশে যেতে পারছি। তবে খালের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি আছে সেটি পাকাকরণ ও খালের উপর দিয়ে কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করে দিলে আমাদের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে।
এ বিষয়ে বিএডিসি গুরুদাসপুর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়নের প্রকল্পের আওতায় পিপলা খালের ১৪০০ মিটার পুনঃখনন করা হয়। এ খাল খননের ফলে এ সকল এলাকার কৃষকরা ব্যপক সুবিধা ভোগ করছে। তবে সামনে যেকোন প্রকল্পের মাধ্যমে খালের উপর কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। আশা করছি কালভার্ট নির্মাণ হলে খালের ১৬ আনা সুবিধা কৃষকরা পাবেন।