সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় শাহজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেছেন, উত্তরের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনের যে উন্নয়ন তা বিএনপি সরকারের আমলেই সাধিত হয়েছে। শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের খেলার মাঠগুলো নির্মাণ করা হয়েছিলো বিএনপি সরকারের সময়ে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক বৈষম্যের জেরে বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলো। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম থাকার পরেও শুধুমাত্র বগুড়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি হওয়ায় সেখানে জাতীয় পর্যায়ের কোনো খেলা আয়োজনের চিন্তাও করেননি তারা। তারা শুধু ব্যস্ত ছিল দুর্নীতি, লুটপাট আর দখলদারিত্বের রাজনীতিতে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়েই সেই আঁধার কেটে গেছে। দ্রুতই দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারো আলোকিত হয়ে উঠবে বগুড়াসহ সারাদেশের ক্রীড়াঙ্গন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বগুড়ার শাজাহানপুরে বারআঞ্জুল ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বারআঞ্জুল খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত
ফুটবল টুর্নামেণ্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা বাশার উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। বাশার আরো বলেন, একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্রীড়াঙ্গনের কোন বিকল্প নেই। মোবাইল গেমস কিংবা ইন্টারনেটে আসক্ত না হয়ে তরুণ প্রজন্মকে তিনি ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সমাজ সেবক আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম, টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শিল্পপতি শাহাদত হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল মোস্তফা ফরহাদ, তাজুল ইসলাম মেম্বার, শহিদুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন তোরাব, বিএনপি নেতা আলামিন, বাবু, গাফফার, জাহিদুল ইসলাম, আলিম, ছাত্রদল নেতা আশিক, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাজু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন, নারী ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম, খেলা পরিচালনা কমিটির ইমরান, সজিব, আরাফাত, রাসেল, কাইয়ুম প্রমুখ।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বামুনিয়া স্পোটিং ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মানিকদিপা ফুটবল একাডেমি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিজয়ী দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি আবুল বাশার। এ সময় মাঠ ও এর আশেপাশের এলাকায় ৫ হাজারেরও বেশি ফুটবলপ্রেমী দর্শক ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন।