লালপুর(নাটোর)প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে সরকারি খাস জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর ২০২৪) সকালে সরোজমিনে গেলে দেখা যায় বেড়িলাবাড়ি গ্রামের জমির উদ্দীনের ছেলে মহিবুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি জোর পূর্বক একটি ঘর নির্মাণ করে দখলে নিয়েছেন সরকারি খাস জমি ও কেটে নিয়েছেন ৮টি মেহগনি গাছ।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায় বসন্তপুর মৌজায় হাজী মোঃ নাজিম উদ্দীনের মালিকানাধীন জায়গার উপর দিয়ে সরকারি রাস্তা হওয়ার পর থেকে ওই জায়গাটি তার দখলে থাকে। সেখানে তিনি কয়েকটি মেহেগুনি গাছ লাগান। কিন্তু ২০২৩ সালে রাতের অন্ধকারে মহিবুর রহমান ঘর নির্মাণ করেন। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আহসান হাবীবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন ইউএনও অফিস। সেই প্রতিবেদনে উল্লখ করা হয় আর এস ১৫নং মৌজাস্থিত ২৮৫নং দাগে ০.৬৮ একর জমি ১নং খাস খতিয়ান ভূক্ত সরকারি জমি। ১০৪৯ স্মারক মূলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে মহিবুর রহমান অবৈধ ভাবে সরকারি জায়গা দখল করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হওয়ায় প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদন জমা হওয়ার এক বছর সময় অতিবাহিত হতে চললেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল বুধবার (৬নভেম্বর) লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পুনরায় সরকারি রাস্তা দখলে নিয়ে জোর পুর্বক ঘর নির্মাণ ও গাছ কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ দাখিল করেন জাহাঙ্গীর।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায় ৩ নভেম্বর ২০২৪ রাতে ওই জমিতে হাজী মোঃ নাজিম উদ্দীনের লাগানো মেহেগুনি গাছগুলো রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা কেটে নিয়ে যায়।
স্থানীয় আব্দুল মান্নান ও জাকাত আলী জানান হাজী নাজিম উদ্দিনের মালিকানা জমি দিয়ে সরকারি রাস্তা হওয়ার পর থেকে খাস খতিয়ানভূক্ত ওই জায়গাটি তার ভোগ দখলে ছিল। এই জায়গা দিয়ে স্থানীয় মানুষ মাঠের যাতায়াত ও ফসল বাড়িতে আনার কাজে রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু মহিবুর ২০২৩ সালে রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মাণ করে জোর পূর্বক দখলে নেন।
এবিষয়ে জানতে মহিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও মেহগুনি গাছের মোটা ডালপালা তার আঙ্গিনায় এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় মহিবুরের স্ত্রী জানান তাদের বাড়ি করার জমি না থাকায় খাস সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করেছেন। গাছ কে কেটেছে জানা নেই তবে ডালপালা তার স্বামী মহিবুর বিল থেকে নিয়ে এসেছে।
পরে মুঠোফোনে বিষয় জানতে চাইলে মহিবুর রহমান জানান বাড়ি করার নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় সরকারি খাস জমিতে ঘর উঠিয়েছি, এব্যাপারে এলাকার মানুষ জানেন। সরকারি ভাবে কোন বন্দোবস্ত নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেন নাই। তবে গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা গাছ কেটেছে বিষয়টি আমি জানার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো:জাহাঙ্গীর আলম বলেন সরকারি জমিতে অবৈধ দখল করে ঘর নির্মাণ করেছেন মহিবুর তবে গাছ কাটার বিষয়টি জানিনা।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে ঘটনা প্রমাণ হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।