তাবলিগ জামাতের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে দুই বার নয়, ইজতেমা একবারই হবে। তাছাড়া গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদপন্থিদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার দুপুরে এক মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন তাবলিগ জামাতের কওমিপন্থি শীর্ষ নেতারা।
ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ তাবলিগ কওমি মাদরাসা ও দ্বীন রক্ষার্থে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। মহাসম্মেলনে বক্তব্য দেন তাবলিগ ও কওমিপন্থি শীর্ষ ওলামায়ে কেরামরা।
এদিকে ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা বিপুল সংখ্যক আলেম–ওলামা জড়ো হওয়ায় পূর্ণ হয়ে যায়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এ সম্মেলন শুরু হয় এবং বেলা সোয়া ১টার দিকে তা শেষ হয়।
সম্মেলনে আলেমরা বলেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
সম্মেলনে মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, ওবায়দুল্লাহ ফারুক, রশিদুর রহমান, শায়খ জিয়াউদ্দিন, শায়খ সাজিদুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাহফুজুল হক, আবু তাহের নদভী, আরশাদ রহমানি, সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ারুল করীম, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি মনসুরুল হক, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আলেমরা।