বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি উত্তর আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২৩ অক্টোবর শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ তৈরি হবে এবং পরদিন ২৪ অক্টোবর সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করবে।
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২৪ তারিখ উপকূলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে সম্ভাব্য ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সেটা বেড়ে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়ও হতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডানা’। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে কাতার। এই ‘ডানা’ নামের অর্থ মুক্ত বা স্বাধীনতা। তবে এই ঘূর্ণিঝড় কোথা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে অথবা কোথায় এটির ল্যান্ডফল হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
অন্যদিকে, কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ‘আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ২০০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি মঙ্গলবার নিম্নচাপ, বুধবার দুপুরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ ও একই দিন সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।’ এর আগে যে পথে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ স্থলভাগে আঘাত করে অগ্রসর হয়, ঠিক একই পথে এবারের ঘূর্ণিঝড় এগোবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (২১ অক্টোবর) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে দু’দিন বৃষ্টি কম হলেও বুধবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।