অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এরই মধ্যে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারক মিলে গঠিত হয়। কেউ যদি আজই কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
রোববার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবনের মধ্য দিয়ে আদালতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার একটি ফোরাম পেয়েছে ছাত্র-জনতা।
আইন উপদেষ্টা বলেন, উচ্চ-আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন, তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে একটা ফোরাম পেল। এটিকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল না থাকায় উচ্চ-আদালতের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ফোরামটা ছিল না। আবার জবাবদিহি নিশ্চিত করার ইচ্ছাও তৎকালীন প্রশাসনের ছিল না। তখন ফরমায়েশি রায় হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে রকম রায় হয়েছে। তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেওয়া হয়নি। বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে। এবার সেটা বাস্তবায়ন করার ফোরামও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।