ঈশ্বরদীতে “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” এর আত্মপ্রকাশ

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়।

ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের সদ্য কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে “বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ” নামে নতুন এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনে ১০ জনকে সমন্বয়ক ও ২১ জনকে সদস্য করে নেতৃবৃন্দের পরিচিতি প্রকাশ করা হয়।

কারামুক্ত সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন জনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সন্ত্রাসী ও গুন্ডাবাহিনী দ্বারা সারা দেশের মতো আমরাসহ ঈশ্বরদীর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মী নানাভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের আমলেও নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এই মামলায় সদ্য জামিনপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীরা। এছাড়াও আরও ৯ জন নেতা ফাঁসির সাজা মাথায় নিয়ে কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসময় ওই ৯ জন নেতার মুক্তি দাবি করে বলা হয়, তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া না হলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

কারামুক্ত নেতারা বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি তাদের বাদ দিয়ে গঠন করার চেষ্টা করলে রাজপথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। বসন্তের কোকিল বা অযোগ্য কাউকে নেতা বানানোর চেষ্টা করলে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা তা কখনো মেনে নেবে না।

বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ কেন গঠন করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, হাবিবুর রহমান হাবিব ভাইকে পাবনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক করে এলাকার বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারামুক্তির পরে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব আমাদের ডেকে নিয়ে বসবেন। কিন্তু হাবিব ভাই এখনো সেটি করেননি। দীর্ঘদিন ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র কোন কমিটি নেই। অথচ ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির আহব্বায়ক হয়েছেন হাবিব ভাই, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু ঈশ্বরদীর বিএনপি’র পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এবং কারো সাথে আলোচনা না করে আজমল হোসেন সুজনকে সেই কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, সেটি মেনে নেওয়া যায় না।

এসময় বিগত সরকারের শাসনামল ও জুলাই-আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।

শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলার ঘটনায় সদ্য কারামুক্ত প্রায় সকল নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।