সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন বলেছেন, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সড়ককে নিরাপদ করতে বাড়াতে হবে সাধারন মানুষের সচেতনতা। প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনাতেই ঝরে যায় অনেক তাজা প্রাণ যা প্রতিরোধে প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ। সাধারণ মানুষের মাঝে আইন না মানার প্রবণতা, সড়ক মহাসড়কে যত্রতত্র স্ট্যান্ড স্থাপন, মহা-সড়কে থ্রি হুইলারের অবাধ বিচরণ, যানবাহনের চালকরা বিশ্রাম না নিয়ে বাড়তি আয়ের আশায় একটানা দীর্ঘপথ যাত্রা করা, ওভারটেকিং টেন্ডেন্সি সর্বোপরি একে অপরের সাথে সমন্বয়হীনতার কারণে কোনভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না রোডক্র্যাশ। তবে সময় এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের তবে তা তখনই সম্ভব হবে যখন সড়কে চলাচলকারি সাধারণ মানুষ ও চালকরা সচেতন হবেন।
“সড়ক হোক সকলের জন্য নিরাপদ” স্লোগানে স্ট্রেনদেনিং রোড সেফটি অ্যাক্ট অ্যান্ড সিভিল সোসাইটি অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী বগুড়া শহরের ওয়াইএমসিএ পলবেসরা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপের দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এ্যাড. মোজাম্মেল হক। প্রকল্পের মেন্টর শেখ আবু রাহাত মো: মাশরুকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কর্মসূচির লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সংগঠিত রোড ক্র্যাশের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন প্রকল্প সমন্বয়ক চন্দন কুমার লেহেড়ি। তিনি বলেন, গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি অনুযায়ী রোড ক্র্যাশে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১০ লক্ষের অধিক মানুষ মারা যায়। যা মিনিটে ২জন এবং প্রতিদিন ৩২’শ জনের বেশি যার বেশিরভাগই শিশু এবং উপার্জনক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বাংলাদেশে প্রতিবছর বিভিন্ন রোডক্র্যাশে ৩০ হাজারের এর বেশি প্রাণ ঝরে যায় যা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এমন পরিস্থিতিতে তারা তাদের প্রকল্পের মাধ্যমে রোড ক্র্যাশ কমাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সড়ককে নিরাপদ করতে নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বগুড়ার সহকারী পরিচালক সাজেদুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী শেখ মো: আবু হাসানাত সাঈদ, বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আমিনুল ফরিদ, বাপা বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ও সমাজকর্মী খোরশেদ আলম, এ্যাড. আশরাফুল নাহার স্বপ্না, গণমাধ্যমকর্মী সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার ও সঞ্জু রায়, সাংস্কৃতিককর্মী নিভা সরকার, পিইউপি’র প্রশাসনিক ও হিসাব কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খশরু, প্রোগ্রাম অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ। ওরিয়েন্টেশনে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন যারা আগামীতে সম্মুখ সারিতে থেকে এই প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন।