ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশের অধীনেই হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস।
জাবালিয়াতে শুক্রবার গভীর রাতে একটি আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। যাতে কমপক্ষে ২২ জন নিহত এবং ৯০ জনেরও বেশি আহত হন।
এই হামলার নিন্দা জানিয়ে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকার জাবালিয়া অঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ‘নৃশংস হত্যাযজ্ঞ’ চালিয়েছে। এই হামলার কারণে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
জাবালিয়া গাজা উপত্যকার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। যেখানে হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে। সাম্প্রতিক সময়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি হামলার মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অভিযোগ করে হামাস আরও বলেছে, ইসরাইল এইসব হামলা চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ও সুরক্ষার অধীনে এবং এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
হামাস জানিয়েছে, এই আক্রমণগুলো মূলত ইসরাইলের ‘গণহত্যা নীতির’ই অংশ, যার লক্ষ্য হলো গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে, যেন ইসরাইলের এই ‘গণহত্যা’ বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত পার হয়ে ইসরাইলি ঘাঁটিতে হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইল গাজায় আক্রমণ শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত।
গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, চলমান এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪২,১৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় এক লাখ মানুষ।
এছাড়া চলমান অবরোধের ফলে সেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যার ফলে গাজার প্রায় সমগ্র জনসংখ্যা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইসরাইলকে তাদের এই সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা