নাটোরে চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল দেড় কোটি টাকা!!!

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর সদরের লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়ায় একটি চালকলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা। লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জের আব্দুর রহিমের ছেলে মো: জালাল উদ্দিন এই আলোচিত চালকলের মালিক। চালকল হিসেবে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করলেও এখানে ধান চাল মাড়াইয়ের কোন কাজ হয় না। দেশের বৃহত্তম প্রধান ওষুধি গ্রাম লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়ার ভেষজ চাষীদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্য চুণ্য (গুড়া) করার কাজে এই চালকলটি ব্যবহার করা হয়।
চালকলের মালিক মো: জালাল উদ্দিন জানান, গত এক বছরের হিসাব মতে গড়ে প্রতিমাসে তার চালকলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১৫হাজার টাকা। ৫আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি বেশ কিছুদিন নিজের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারেননি। সোমবার চালকলে এসে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেখে তার মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। বিলে গত ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে এক কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তিনি সাথে সাথে বিল হাতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তর নাটোর শহরের ফুলবাগান এলাকায় ছুটে যান। এসময় বিলিং সহকারীদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা সমস্যার কোন সমাধান না করে উলটো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও নাটোর সদরের হয়বতপুর বাজারের চালকল মালিক কালাম সরকারসহ আরো একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারীরা মাঝে মধ্যেই এধরনের ভুল করে তাদের বিপদে ফেলেন। পরে যোগাযোগ করলে তাদের নানা কথা শোনানো হয়। সংশোধনের জন্য তাদের মহাব্যবস্থাপক পর্যন্ত যেতে হয়।
এ সব বিষয়ে জানার জন্য নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহাব্যবস্থাপকের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে জনৈক আবু নাসের নিজেকে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে জানান মহাব্যবস্থাপক অসুস্থ্য, তাই ফোনটি তার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, বিলটি মানবিক ভুলে হয়ে গেছে। অতি দ্রুত বিলটি সংশোধন করে গ্রাহককের কাছে পৌছে দেয়া হবে এবং যিনি এমন ভুল করেছেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান।