সাজ্জাদ হোসেন সাজু (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি)
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহ্শিলদার) মোঃ আবুবকর সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম এর কাছে জেলা প্রশাসক (ভাঃ দাঃ) বরাবর দাখিলকৃত চরভদ্রাসন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে করা একটি লিখিত অভিযোগের কপি জমা দেন এক ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (১২সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ অভিযোগটি দায়ের করেন উপজেলা সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দা মোঃ আঃ ওদুদ মোল্যা লাবু। অভিযোগে তিনি বলেন, আমি ও আমার ভাই আমেরিকা প্রবাসী দীর্ঘদিন যাবত আমাদের পৈত্রিক-মাতৃক জমি নামজারির জন্য চরভদ্রাসন ভূমি অফিসে আবেদন করিয়া আসিতেছি। কিন্তু চরভদ্রাসন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহ্শিলদার) আবুবকর সিদ্দিক বিভিন্ন অনিয়ময়ের মাধ্যমে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক প্রতিবেদন দিয়ে আমাদের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি করিয়া আসিতেছে।
এব্যাপারে আমরা মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর নিকট একটি আবেদন করি এবং জেলা প্রশাসক ফরিদপুরকে অনূলিপি প্রদান করিলে গত, ০৮/০৫/২০২৩ইং স্বাক্ষরিত রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ফরিদপুর চরভদ্রাসন সহকারি কমিশনার (ভূমি), চরভদ্রাসন, ফরিদপুরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানান যাহার স্মারক নং .৫১২.২৯০০.০১৪.০৭.০৩২.৭৭৬(১)। কিন্তু দীর্ঘদিন উক্ত বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমি পুনরায় গত, ০৮/০৯/২০২৪ইং জেলা প্রশাসক (ভাঃ দাঃ) বরাবর অভিযোগ দাখিল করি।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী ওদুদ মোল্যা লাবু বলেন, ওই তহ্শিলদার তার কিছু দালালচক্র নিয়ে অফিসে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, অন্যায় কাজ করে বেড়ায়। শুধুমাত্র আমি না, প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেবা নিতে আসা অনেককেই ওই ভূমি কর্মকর্তা সহজ কাজকে জটিল করে তাদেরকে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে বলে শোনা যায়। তিনি আরো বলেন, উক্ত তহ্শিলদারের কারনে এপর্যন্ত আমরা ৫০ লাখ টাকার মত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহ্শিলদার) মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বলেন, সে তার একটি জমির নামজারির ব্যাপারে আমার কাছে কাগজপত্র জমা দেয়। কিন্তু কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তার নামজারির আবেদন বাতিল করা হয়। তার কাগজপত্র সঠিক না থাকলে কিভাবে আমি তার কাজ করে দিতে পারবো। নতুন কোন এসিল্যান্ড আসলেই সে আমার বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ দেয়। তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। আমি এখনো অভিযোগটি পাইনি। আমার কাছে তার কাগজপত্র আছে। আপনারা অফিসে এসে দেইখেন। তার কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা। যদি সঠিক থাকে তাহলে আপনারা আমাকে যা বলার বইলেন। আর সঠিক না থাকলে আপনারা তাকে যা বলার বইলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম বলেন, ওদুদ মোল্যা লাবু কি যেন একটা বিষয়ে ডিসি স্যারের কাছে আবেদন করেছে। ওইটার বিষয়ে ডিসি স্যার বোধহয় এসিল্যান্ডকে তদন্ত দিছে। তদন্তটা বোধহয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী করছে। আমি এসিল্যান্ডকে বলে দিছি ভূমি সহকারীকে দিয়ে ভালো করে তদন্ত করতে।