ইয়ানূর রহমান : যশোরে ঠিকাদার মোস্তফা কামাল শিফাকে অপহরণের পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার ৯ বছর পর যশোরের আলোচিত টিএসআই রফিক ও
সাত জন পুলিশ সদস্যসহ ১২ জনের নামে শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার মোস্তফা কামাল শিফা বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের
জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হলেন চাঁচড়া ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন, কনস্টেবল খাইরুল ইসলাম, আবু জাফর, জাহিদ হোসেন,মুজিবুল ইসলাম ও আব্দুল আলিম। অন্য আসামিরা হলেন বিরামপুর পশ্চিমপাড়ার গোবিন্দ বিশ্বাস, প্রণয় বিশ্বাস, মণিরামপুর উপজেলার সমসেরবাগ গ্রামের কাঁঠালতলার আবুল হোসেন ও গোলাম হোসেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, প্রথম সাত আসামি পুলিশের সদস্য। অন্যরা পুলিশের কথিত সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।
২০১৫ সালের ৬ মে বাদীকে বাড়ি থেকে তুলে সদর উপজেলার বোলতলা গ্রামের মাঠের মধ্যে নিয়ে যান আসামিরা। এরপর তার বাড়িতে থাকা ৭২ হাজার টাকা নিয়ে নেন।
এরপর তার চোখ ও হাত বেঁধে বাদীর কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন আসামিরা। রাজি না হলে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে বাদীর মা রিজিয়া বেগম বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধারকর্জ করে আসামিদের ১২ লাখ টাকা দেন। ওইদিন ভোর রাতে যশোর রেলস্টেশনে ফেলে রেখে যায়। পরদিন সকালে এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় মামলা করার জন্য
যান বাদীর মা রিজিয়া বেগম। কিন্তু আসামিরা বাদীর মায়ের লেখা অভিযোগ ছিড়ে ফেলে উল্টো তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঘটনার নয় বছর পর বাদী আদালতে এ মামলা করেন।