আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘি থানায় এক শ্রেনির তদবিরবাজদের দৌরাত্মে থানা প্রশাসন ও সেবা নিতে আসা সাধারাণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা কেউবা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আবার কেউবা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে। ফলে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষরা নানা জটিলতায় ভুগছেন।
জানাযায়, গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুলিশ প্রশাসনের ধীরে চলো নীতি গ্রহনের সুযোগে এক শ্রেনির সুযোগ সন্ধানী তদবির কারকরা বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগের তদবির নিয়ে থানায় আসছেন। কেউবা থানায় সেবা নিতে আসা জনসাধারণকে কৌশলে তার পক্ষ নিয়ে তদবির করতে শুরু করেন। ওই তদবির কারকরা কেউবা সাংবাদিক পরিচয় কিংবা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছেন প্রতিনিয়ত। ফলে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ ওই সব তদবির কারকদের খপ্পরে পড়ে কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। থানায় সেবা নিতে আসা মিজানুর রহমান, আব্দুল মালেক, তাছলিমা বেগম জানান, নয়ন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রায় সার্বক্ষনিক থানায় অবস্থান করে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে সেবা গ্রহিতাদের কাছে অবৈধ সার্থ হাছিলের চেষ্টা করে থাকে। তিনি সহ অন্যান্য তদবির কারকরা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ফলে থানায় সেবা নিতে আসা অনেকেই প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আদমদীঘি প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজার রহমান বলেন একজন প্রকৃত সাংবাদিক কখনও তদবির কারক হতে পারেনা। তবে সাংবাদিকের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ অবৈধ সুবিধা আদায় করতে চায় তাকে আইনের আওতায় নেয়া উচিৎ। আদমদীঘি থানার সিনিয়র উপ পরিদর্শক তারেক হোসেন জানান, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নয়ন নামের এক ব্যক্তি প্রায় প্রতিদিন থানায় তদবির করতে আসেন নিশ্চিত করে বলেন, তদবির কারকরা সেবা গ্রহিতার পক্ষ নিয়ে বিব্রত না করলে সেবা গ্রহিতারা প্রকৃত সেবা পাবেন।