// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
সড়কের পর এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন বগুড়ার সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শনিবার বিকেলে শহরের ফতেহ আলী বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে মনিটরিং কার্যক্রম চালান তারা। মনিটরিং এ শিক্ষার্থীরা বের করে আনেন নানা অসঙ্গতির চিত্র।
ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স (এনসিটিএফ) বগুড়ার উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা ব্যবসায়ীদের ক্রয়ের সাথে বিক্রয় মূল্যের মিল আছে কিনা তা তদারকি করেন। শিক্ষার্থীদের মনিটরিং এ দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানেই ছিলনা পণ্যের সঠিক কোন মূল্য তালিকা। পাশাপাশি সবজির বাজারে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের কাছে ছিল না ক্রয়ের রশিদও। যাতে করে ব্যবসায়ীরা প্রকৃত অর্থে কত টাকা দিয়ে পণ্য কিনেছে আর কত টাকা লাভে বিক্রি করছে তার হিসাবে গড়মিল খুঁজে বের করে শিক্ষার্থীরা।
মনিটরিং এ আসার শিক্ষার্থীদের মাঝে এনসিটিএফ বগুড়ার নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে শাহরিয়ার নাফিজ, মালিহা ইসলাম ও মারিয়াম আক্তার জানান, সারা দেশের শিক্ষার্থীরা এখন দেশ সংস্কারের কাজে নেমেছেন। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে উর্ধ্বমুখী দাম তাতে নিম্ন আয়ের মানুষ খুবই কষ্টে রয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মুখে বর্তমান বাংলাদেশে যেহেতু সড়কে নেই কোন চাঁদাবাজি কিংবা নেই কোন সিন্ডিকেটের থাবা। এমন পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার প্রচেষ্টা তাদের। তবে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরকেউ আরো আন্তরিক এবং সৎ হতে হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এমন মনিটরিং কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন আমাদের দেশের সোনার সন্তানেরা যেভাবে সরকারকে উৎখাত করতে পেরেছে তাদের বিশ্বাস বাজারের যে সিন্ডিকেট তাও শিক্ষার্থীরাই ভাঙতে পারবে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের তদারকির চেয়ে বেশি প্রয়োজন এই সিন্ডিকেটের যারা মূলহোতা তাদেরকে মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসা। গোঁড়ায় যদি চিকিৎসা করা যায় তাহলে তৃণমূলের মানুষ তার সুফল পাবে।
আর সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেভাবে দেশ সংস্কারের কাজে নেমেছেন তাতে অবশ্যই ইতিবাচকভাবে আমূল পরিবর্তন আসবে। বাজার মনিটরিং এর তাদের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন আজ শিক্ষার্থীরা বাজারের নানা অসঙ্গতি তুলে এনেছেন যা সমাধানে তিনি শক্ত পদক্ষেপ নেবেন। পাশাপাশি আগামীতেও যে কোন অভিযানে শিক্ষার্থীদের পাশে সর্বদাই থাকবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।