// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় নাশকতা মামলায় দুই স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে যশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থী হলেন সারিয়াকান্দি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির সিয়াম বাবু ও অষ্টম শ্রেণির সাবিদুল ইসলাম সুপ্ত। সিয়াম বাবু উপজেলার পৌর এলাকার আন্দরবাড়ী গ্রামের মিঠু ইসলামের ছেলে এবং সুপ্ত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। অন্যদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি আবদুল মোমিনও ওই গ্রামেরই শাহীন মিয়ার ছেলে।
এজাহারের বরাতে ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, গত বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মহাস্থান বগুড়া-১ এবং মহাস্থান বগুড়া-২ নামক রেসকিউ বোর্ট আউটসোর্সিং ড্রাইভার মোস্তাফিজার রহমান এবং ওবায়দুর রহমান দেখেন একদল রেসকিউ বোর্ডে ভাঙচুর করছে। রেসকিউ বোর্ট দুটি কালীতলা গ্রোয়েন বাঁধের দক্ষিণ পাশের শ্মশানঘাটে বাঁধা ছিল। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বড় ধরনের সহিংসতা ও নাশকতা ঘটানোর আশঙ্কায় তাদের আটক করেন স্থানীয়রা। পরে নৌকার মাঝিরা একত্র হয়ে তাদের মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান আসামি আবদুল মোমিনের দেহ তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক বাল্ব, তার, ভাঙা আয়নার টুকরা এবং দিয়াশলাই উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং মোমিনসহ শিক্ষার্থীদের নামে উপজেলা পরিষদের রেসকিউ বোর্ডের আউটসোর্সিং ড্রাইভার নাশকতার চেষ্টায় দুটি পৃথক মামলা করেন।
তিনি বলেন, দুটি রেসকিউ বোর্ট ২২০ লিটার তেল মজুদ ছিল। এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামিকে কারাগারে এবং এ কাজে সহযোগিতা করার অপরাধে দুই শিক্ষার্থীকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা আরো বিষদ তদন্ত করছেন।