// নাটোর প্রতিনিধি.
বার বার ভূমি অফিসে ধরনা দিয়েও নাটোরের গুরুদাসপুরে আজিম হোসেন নামের এক কৃষকের জমি খারিজ হচ্ছেনা। তিনি হয়রানীর শিকার হয়ে এ অভিযোগ করেছেন। আজিম উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের সোলায়মান আলীর পুত্র। তার জমির খারিজ চারবার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভূমিসেবা সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের সভায় কৃষক আজিম হোসেন তার বক্তব্যে সরাসরি এ অভিযোগ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী।
ভুক্তভোগী কৃষক আজিম বলেন, “আমার পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ১ একর ২৬ শতক জমি ভূমি অফিস খারিজ করে দিচ্ছেনা। নানা অজুহাতে বারবার খারিজ বাতিল করে দিচ্ছে। আদিবাসীদের জমি খারিজের বিধান নাই, অথচ টাকা দিলেই তা হরহর করে খারিজ হয়ে যাচ্ছে। ইউএনও স্যার বলেছেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নির জমি তিন মাসের মধ্যে দলিল না করলে বাতিল হয়ে যায়।”
গেজেটে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ২০১২ আইন মোতাবেক জানা যায়, ভূমি উন্নয়ন সংক্রান্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মেয়াদ অতিক্রম হওয়ার পরেও পাওয়ার গৃহিতার অংশের বিক্রয়, বিক্রয় চুক্তি সম্পাদন বা ঋণ গ্রহণের বিপরীতে বন্ধকি দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা বাঁধাগ্রস্থ হবেনা এবং উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বহাল আছে মর্মে গন্য হবে।
উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আজিম হোসেনের অন্যান্য জমি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাগজপত্রে ঘাটতি থাকায় তার একটি জমি খারিজ হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সালমা আক্তার বলেন, আইনত পাওয়ার অব অ্যাটর্নির তিন মাসের মধ্যে দলিল করতে হয়। তারপরও আজিম হোসেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।#