// মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারে পারিবারিক বিরোধের জের হিসাবে স্বামীকে আসামী করে মামলা করতে গিয়ে জয়নাল মিয়া উরফে কর্ণাল নামীয় জনৈক এক ব্যক্তির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিপাকে পড়েছেন মামলার বাদী মোছা: হেলিনা বেগম।মামলার বাদী ও অন্যান্য বিবাদীগণ জানান-স্বামী-স্ত্রী‘র মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলেজয়নাল মিয়া উরফে কর্ণাল-এর প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন (মামলা নং-৩৪১২/২৪ইং) রাজনগর উপজেলার কামালপুর গ্রামের কিম্মত আলী-এর মেয়ে মোছাঃ হেলিনা বেগম।বিগত ১১/০২/২৪ইং, ফৌজদারী কার্য্যবিধি আইনে মামলা দায়ের পরবর্তীতে দেখা যায়স্বামী রাজু মিয়া-কে আসামী করার পাশা-পাশিঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয়, এবং মামলার বাদীর অপরিচিত খয়রুল মিয়া, নুরুল হাসনাত,পারভেজ মিয়াসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলার বাদী ও অন্যান্য বিবাদীগণ একটি অঙ্গীকারনামা মূলে উক্ত দায়েরকৃত মামলাটি আপোষ-মিমাংসা করেন। একাধিক সুত্রে প্রকাশ-জয়নাল মিয়া উরফে কর্ণাল রাজনগর উপজেলার পাটানটুলা গ্রামের লেদু মিয়া উরফে ইন্তাজ আলী এর পুত্র। বর্তমানে মৌলভীবাজার শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সরকারী ঘর বরাদ্ধ, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, বয়স্ক ও বিধাব ভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামেগরীব ও অসহায় লোকজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার টাকা।বিগত ১৬/০৭/২০২১ইং করোনা মহামারীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হইতে প্রাপ্ত বরাদ্দ হিসেবে মৌলভীবাজার পৌরসভায় নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে চাল বিতরণ কার্ডে অভিনব জালিয়াতির মাধ্যমে ২৪৯৪ সিরিয়ালের একটি চাউলের কার্ড নিয়ে একই সিরিয়ালের লাল অফ রংয়ের ২৪টি কার্ড ও টিয়া কালারের ৬টি কার্ড কালার ফটোকপি মেশিনের সাহায্যে ফটোকপি করে চাল নিতে আসলে দায়িত্বে থাকা পৌরসভার স্টাফদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আসাদ হোসেন মক্ককু ও কাউন্সিলর সালেহ আহমদ পাপ্পুর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার বাসা তল্লাশী করে বিপুল পরিমান কার্ড ও ড্রাম ভর্তি ভিজিএফের চাল উদ্ধার করা হয়।