জন্মদিনে ভালোবাসায় সিক্ত ইবির সাবেক উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী

/./ রানা আহম্মেদ অভি, ইবি ।। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকরী’র ৫৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৫ সালের আজকের এই দিনের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আসকারপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতার মৃত মোঃ আবদুল মান্নান ও মাতা সেতারা বেগম।

তাঁর ৫৯তম জন্মদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা।

২০১৬ সাল। বিশ্ববিদ্যালয় যখন নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত ঠিক সেই সময়ে উন্নয়ন ও আলোর বার্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। কালক্রমে নামটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের কাছে প্রিয়ময়। একইসাথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল সহকর্মীদের কাছেও। তাঁর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযয়ী বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিকায়ন ও সেশনজটমুক্ত করেছিলেন। ঢেলে সাজিয়েছিলেন পুরো ক্যাম্পাসকে।

তাঁর সময়ে শিক্ষার্থীদের বহুল প্রশিক্ষিত ৪র্থ সমাবর্তন আয়োজন, ৯টি নতুন বিভাগ চালু, ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্ন্তজাতিকীকরণে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি চালু করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশামতো প্রতিবছর করেছেন বৈশাখী মেলা, বই মেলা, বিজ্ঞানমেলা সহ আন্তঃবিভাগ খেলা কিংবা বিতর্ক। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের গুনগত শিক্ষাগ্রহণে অডিটোরিয়ামে করেছেন সভা- সেমিনার।

তাঁর মেয়াদকালে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব সকল ধরনের উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল বলেই হাজারো শিক্ষার্থীর মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন ড. রাশিদ আসকারী। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভার্চুয়াল ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন ড. রাশিদ আসকারী। কেউ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন আধুনিক ইবির স্বপ্নদ্রষ্টা, অনুপ্রেরণার বাতিঘরসহ নানান কথা।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জানতে চাইলে ইবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি কখনো জন্মদিন পালন করিনি, আর নিজেকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করিনা। কিন্তু প্রতিবার জন্মদিনে আমার  শুভানুধ্যায়ী এবং ছাত্রছাত্রীরা আমাকে যেভাবে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় প্লাবিত করে তাতে আমি অভিভূত হই। আমার সামান্য কাজে ছাত্রছাত্রীদের  যে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস তা আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে। জানিনা কতটুকু তাদের দিতে পেরেছি। তবে আমৃত্যু তাদের জন্যে আমার দুয়ার খোলা থাকবে।’