// মো. নূরুল ইসলাম, চাটমোহর (পাবনা)
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণত স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বার্ষিক ভ্রমণ বা পিকনিকের আয়োজন করে। লক্ষ্য থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল জ্ঞান লাভ। ছাত্রজীবন শ্রেষ্ঠ সময়। ছাত্ররাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। দেশের সামগ্রিক উন্নতি নির্ভর করে ছাত্রদের ওপর। আজকের ছাত্ররাই আগামী দিনের সমাজকর্মী ও দেশনেতা। ভবিষ্যতে তারাই দেশ পরিচালনা করবে। এরি লক্ষে পাবনার চাটমোহরের সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অরবিটল লিংক স্কুল এন্ড কলেজ শুক্রবার (৩১ মে) শিক্ষামূলক ভ্রমণ করে এলেন লালপুর গ্রীণ ভ্যালি থেকে।
মানবজীবনের পুরোটাই ছাত্রজীবন। কেননা পাঠ্য বই ছাড়াও মানুষ মানুষের কাছ থেকে, প্রকৃতির কাছ থেকেও প্রাণিজগতের কিছু না কিছু শিক্ষা লাভ করে থাকে সারা জীবন। ছাত্রজীবন শিক্ষালাভের সময়। তবে এ শিক্ষা লাভ শুধু পাঠ্যপুস্তুকের নয়। পুঁথিগত বিদ্যাই সবকিছু নয়। কবির ভাষায় বলা হয়েছে-গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন/ নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।
সাধারণত অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের দূরে পিকনিকে পাঠাতে চান না। সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা জেলাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়ে যেতে পারেন। এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যেটা আসলে সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে অর্থাৎ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার উদ্যোগে। এখন যাতায়াত ব্যবস্থাও অনেক সহজ হয়েছে। উন্নত হয়েছে রাস্তা-ঘাট। ফলে খুব সহজে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যায়।
অরবিটল লিংক স্কুল এন্ড কলেজের (স্কুল শাখা) প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান সুজন বলেন, ছাত্রজীবনে শিক্ষামূলক ভ্রমণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের ধরাবাঁধা একঘেয়ে জীবনকে নতুনমাত্রা দান করে। শিক্ষামূলক ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান অথবা কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমতি স্থান অবলোকনের সুযোগ পাই। এসব স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত্বব জানতে পারি। এ ভ্রমণ জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।
অরবিটল লিংক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শিক্ষঅনুরাগী অধ্যক্ষ এম,এ মতিন জানান, বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েরা পড়ালেখার বিষয়ে উদাসীন। তারা পড়াশোনার থেকে বিনোদন বেশি পছন্দ করে। সে জন্যই শিক্ষকদেরও কৌশলী হতে হবে। কীভাবে তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ ও জাতির উন্নয়ন করা যায় তার ব্যবস্থা করা।