// মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : দাবীকৃত টাকা না দিলে অশ্রীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে সুমন মিয়া ও আকলিছ মিয়াগংদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘঠেছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চুবড়া এলাকার “আখন্দ ভিলাস্থ, ২৪০/১, বনবীথি” বাসার ৩য় তলায়। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জজ ক্যান্টিনের পার্শ্বে, নুসরাত ষ্টোর নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্টানের পরিচালক ভুক্তভোগী মো: সোহেল বেপারী গত ১৯ মে মৌলভীবাজার মডেল থানায় বাদী হয়ে সুমন মিয়া (৫০) ও আকলিছ মিয়া (৫৬)গংদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী মো: সোহেল বেপারী জানান- গত বৃহস্পতিবার পূর্ব পরিচিত সুমন জানান একটি মহিলার বাসা পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য। মহিলার সাথে সুমনের মুঠোফোন দিয়ে কথা-বার্তা বলার পর ঐদিন রাত সাড়ে ৮টায় দিকে ঐ মহিলার বাসায় চলে যান। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথেই ২জন অজ্ঞাতনামা লোক বাসায় প্রবেশ করে এবং সুমন ও আকলিছ এর সহায়তায় সোহেল-কে আটকিয়ে মারধর শুরু করেন। সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে ভিকটিমকে রুমে নিয়েই আপত্তিকর অবস্থা তৈরী করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তার শার্টের কলারে ধরে মহিলাসহ ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- পরিচিত একজন মহিলার মাধ্যমে বাসার পরিবর্তনের জন্য ঐ বাসায় যাই। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। বাসায় অজ্ঞাতনামা লোক মহিলার সহায়তায় বাসায় প্রবেশ করে। আমাদের জিম্মি করে ভিডিও ধারণ করে। ভুক্তভোগী মো: সোহেল বেপারী-এর আমার উপর আনিত অভিযোগটি সঠিক নয়। আমি বে-কায়দায় পড়ে গিয়েছিলাম। আকলিছ মিয়া- ঐ মহিলার বাসায় গিয়ে আমাদের উদ্ধার করেন। সমযোতার মাধ্যমে নগদ ৩০ হাজার টাকা ঐ মহিলা-কে দেওয়া হয়েছে। আরো ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে। বাসায় ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি ডিলিট করা হয়েছে। আকলিছ মিয়া বলেন- আমার পূর্ব পরিচিত এলেমান মিয়ার মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ঐ মহিলার বাসায় গিয়ে সুমন ও মো: সোহেল বেপারী-কে উদ্ধার করতে এলেমান এর মাধ্যমে নগদ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করি। এবং পরবর্তীতে আরো ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন- সুমন ও মো: সোহেল বেপারী- খারাপ কাজের জন্য বাসায় গিযেছেন মর্মে বাসায় উপস্থিত লোকজন জানান। মান-সম্মান রক্ষার জন্য আমার পকেট থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে, তাদের উদ্ধার করি। মো: সোহেল বেপারী আমাদের উপর আনিত অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা তার উপকার করেছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম নজরুল ইসলাম জানান- অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।