// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব যিনি দীর্ঘদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে পালিয়ে ছিলেন। মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়ে গাজীপুরে রিক্সা চালাতো নিহতের ঘাতক সেই স্বামী।
অবশেষে রবিবার রাতে গাজীপুরের পোড়াবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে।
সোমবার দুপুরে র্যাব ১২ বগুড়া ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাকের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম এলেমা বেগম আর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বিবি। রাজ্জাক যৌতুকের দাবিতে তার প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি তার প্রথম স্ত্রী এলেমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় সেদিন কাহালু থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর মরদেহের ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় নিহত এলেমার ভাই হাফিজার রহমান তার ভগ্নিপতি রাজ্জাক ও মনোয়ারাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই মামলাটিকে এফআরআই হিসেবে গ্রহণ করতে কাহালু থানাকে নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে রাজ্জাক ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এসব বিষয়ের আলোকে ২০২১ সালে বিচারক আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন এবং মনোয়ারাকে খালাস প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান, এই মামলায় আব্দুর রাজ্জাক ৫ বছর জেল খেটে জামিনে বের হয় এবং আবারও বিয়ে করে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে সংসার করছিল। গ্রেপ্তার এড়াতে সবার অজান্তে গাজীপুর এলাকায় ছদ্মবেশে অটো রিক্সা চালাতো। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাহালু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।